টানা ৯ টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি নেই বাবর আজমের। বল হাতে নিজেকে পারছেন না শাহিন আফ্রিদিও।
৬৫০ দিনেরও বেশি টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি নেই প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজমের। বল হাতে নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে এই তিন তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানের নির্বাচকরা। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আত্মবিশ্বাস ফেরানোর জন্য এই তিন তারকা ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছেন উইকেটকিপার–ব্যাটার সরফরাজ খানও।
২০২৩ সাল থেকে ইংল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত ৯ টি টেস্ট খেলেছেন বাবর আজম। ১৭ ইনিংসে রান মাত্র ৩৫২, গড় ২০.৭০। এই ১৭ ইনিংসে কোনও হাফ সেঞ্চুরি নেই। প্রাক্তন অধিনায়ককে বাদ দেওয়া হতে পারে কদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। শেষ পর্যন্ত সেই পথেই হাঁটলেন পাকিস্তান নির্বাচকরা। খারাপ ফর্মের জন্য বাদ পড়েছেন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহরাও। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ‘বাদ’ শব্দ ব্যবহার করা না হলেও, যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে খারাপ ফর্মের জন্যই যে দলে রাখা হয়নি, তা স্পষ্ট।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৪–২৫ মরশুমে পাকিস্তানের ভবিষ্যত সূচির কথা মাথায় রেখে সাম্প্রতিক ফর্ম ও ফিটনেসের জন্য বাবর আজম, নাসিম শাহ, সরফরাজ আহমেদ ও শাহিন আফ্রিদিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের দুটি টেস্টের দল থেকে বিশ্রাম দিয়েছে নির্বাচকরা। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় আবরার আহমেদ খেলার মতো অবস্থায় নেই।’ পরের দুই টেস্টের দলে জায়গা পেয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটার হাসিবউল্লাহ, বাঁহাতি স্পিনার মেহরান মুমতাজ, অলরাউন্ডার কামরান গুলাম, জোরে বোলার মহম্মদ আলি ও অফ স্পিনার সাজিদ খান। প্রথম টেস্টে দলের সঙ্গে থাকা নোমান আলি ও জাহিদ মেহমুদকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাকি দুটি টেস্টের জন্য দলে সুযোগ পেয়েছেন: শান মাসুদ (অধিনায়ক), সৌদ শাকিল (সহঅধিনায়ক), আমের জামাল, আবদুল্লাহ শফিক, হাসিবউল্লাহ (উইকেটকিপার), কামরান গুলাম, মেহরান মুমতাজ, মির হামজা, মহম্মদ আলি, মহম্মদ হুরাইরা, মহম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), নোমান আলি, সাইম আয়ুব, সাজিদ খান, সলমান আলি আগা ও জাহিদ মেহমুদ।
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায় হরমনপ্রীতদের, ভারতের ভাগ্য পাকিস্তানের হাতে