উইম্বলডনে অঘটনের আশঙ্কা এখনও কমেনি। প্রথম সেট জিতে নোভাক জকোভিচের স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অ্যালেক্স ডি মিনাউর। যদিও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। মিনাউরকে হারিয়ে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন জকোভিচ। জকোভিচের পাশাপাশি কার্লোস আলকারাজ, ইয়ানিক সিনারও পৌঁছে গেছেন শেষ আটে। তবে ২টি সেট এগিয়ে থেকে গ্রিগর দিমিত্রভ চোটের জন্য ম্যাচ ছেড়ে না দিলে আরও একটা অঘটনের সাক্ষী থাকত উইম্বলডন।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে জকোভিচকে। প্রথম সেটে জকোভিচকে হারিয়ে চমক দিয়েছিলেন মিনাউর। ৬–১ ব্যবধানে প্রথম সেট জিতে নেন তিনি। পরের সেটেই দারুণ প্রত্যাবর্তন। ৬–৪ ব্যবধানে জিতে সমতা ফেরান। তৃতীয় সেটও একই ব্যবধানে জিতে এগিয়ে যান জকোভিচ। চতুর্থ সেটে একসময় ৪–২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন মিনাউর। মিনাউরের সার্ভিস দু’বার ব্রেক করে ৬–৪ ব্যবধানে জিতে শেষ আটে পৌঁছে যান জকোভিচ।
অন্যদিকে, ইয়ানিক সিনারের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ছন্দে থেকেও শেষ পর্যন্ত ওয়াকওভার জিতে হল গ্রিগর দিমিত্রভকে। ৬–৩, ৭–৫ ব্যবধানে প্রথম দুটি সেট জিতে সিনারকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন দিমিত্রভ। তৃতীয় সেট ২–২ অবস্থায় চোট পান। চোটের জন্য আর কোর্টে নামতে পারেননি। ওয়াকওভার পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছন সিনার।
জকোভিচ ও সিনারের আগেই অবশ্য শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজ। রাশিয়ার আন্দ্রে রুবলেভের বিরুদ্ধে প্রথম সেট হেরেও জয় ছিনিয়ে নেন। প্রথম সেটে রুবলেভ এগিয়ে গেলেও দারুণভারে লড়াইয়ে ফেরেন আলকারাজ। শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে প্রথম সেট জিতে নেন রুবলেভ। পরের তিন সেটে আলকারাজকে আটকানো যায়নি। রুবলেভকে ৬–৭ (৫–৭), ৬–৩, ৬–৪, ৬–৪ সেটে হারিয়ে শেষ আটের ছাড়পত্র পেয়ে যান আলকারাজ।
অন্য দিকে, মহিলা সিঙ্গলসের শেষ আটে পৌঁছে গেলেন বেলিন্দা বেনসিচ। প্রি–কোয়ার্টারে ফাইনালে ৭–৬ (৭/–৪), ৬–৪ স্ট্রেট সেটে তিনি হারিয়েছেন একাতেরিনা আলেক্সান্দ্রোভাকে। কোয়ার্টারে উঠেছেন আমান্দা অ্যানিসিমোভাও। ৬–২, ৫–৭, ৬–৪ হারান লিন্ডা নসকোভাকে। ইগা শিয়নটেকও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন। ৬–৪, ৬–১ ব্যবধানে হারিয়েছেন ক্লারা তোসুনকে।