সেরা স্কুল সাউথ পয়েন্টের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো–চেয়ারপার্সন ডঃ মানসী রায়চৌধুরি।
শেষ হল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ আয়োজিত আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ‘টেকনো অলিম্পিকা নাইটস’। জমকালো সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্যারাঅলিম্পিয়ান অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত যোগেশ কাঠুনিয়া, বাংলার ক্যারাটে সংস্থার প্রেসিডেন্ট প্রেমজিৎ সেন, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো–চেয়ারপার্সন ডঃ মানসী রায়চৌধুরি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এই নিয়ে চতুর্থবার ‘টেকনো অলিম্পিকা নাইটস’ আয়োজন করল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ। গোটা রাজ্যের ১০৫টিরও বেশি স্কুলের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১৯০০ ছাত্রছাত্রী এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। তীরন্দাজি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, দাবা, ডিসকাস থ্রো, ফুটবল, ফ্রিস্টাইল সাঁতার, ফ্রিস্টাইল রিলে সাঁতার, দৌড়, কাবাডি, লং জাম্প, রিলে রেস, টেবিল টেনিস ক্যারাটে এবং ভলিবল। টেকনো ইন্ডিয়ার সল্টলেক ক্যাম্পাস, কলকাতার সাই কেন্দ্র, স্পাডি ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি, এইচএ ব্লক টেবিল টেনিস অ্যাকাডেমি, সুভাষ সরোবর সুইমিং পুলসহ শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গা এই ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়ে।
এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুল। তাদের সংগৃহীত মোট পয়েন্ট ৮৯। নগদ ৫০ হাজার টাকা ছাড়াও ট্রফি তুলে দেওয়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে। তুলে দেন প্রধান অতিথি অলিম্পিয়ান যোগেশ কাঠুনিয়া। ৫৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় হয়েছে গার্ডেন হাই স্কুল। ট্রফি ছাড়াও ৩০ হাজার টাকা পেয়েছে তারা। তৃতীয় হয়েছে শাখাওয়াত মেমোরিয়াল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট ৫৪। ট্রফি ছাড়াও পেয়েছে নগদ ২০ হাজার টাকা। চতুর্থ ডিপিএস মেগা সিটি। তাদের সংগ্রহ ৪৯ পয়েন্ট। ট্রফি ছাড়াও তারা পেয়েছে নগদ ৫ হাজার টাকা।
এদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো–চেয়ারপার্সন মানসী রায়চৌধুরি বলেন, ‘আমরা এই বছর টেকনো অলিম্পিকা নাইটসকে এত বড় স্কেলে সমাপ্ত করতে পেরে রোমাঞ্চিত৷ এত প্রতিভাবান তরুণ ক্রীড়াবিদদের একত্রিত হওয়া এবং দক্ষতা প্রদর্শন সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। এবছর ছাত্রীদের অংশগ্রহন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অসাধারণ পারফরমেন্স ক্রীড়াযক্ষেত্রে মেয়েদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতায়নকে প্রতিফলিত করে এবং আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি ক্রীড়াবিদ উজ্জ্বল হওয়ার সুযোগ পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খেলাধুলা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সংযোগের ওপর জোর দিয়েছি। এই ইভেন্টের মাধ্যমে, আমরা মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব এবং কীভাবে খেলাধুলা স্ট্রেস রিলিফ, ফোকাস এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য রাখি। আমরা যেমন সামনের দিকে তাকাই, তেমনই মানসিক সুস্থতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য প্ল্যাটফর্ম প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের তরুণ ক্রীড়াবিদরা আগামী বছরগুলিতে দক্ষতা অর্জন করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।’
এবছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুলের বিভিন্ন শাখা, কাঁচরাপাড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, পার্ক স্ট্রিট এবং সল্টলেকের অ্যাপিজে স্কুল, আর্মি পাবলিক স্কুল কলকাতা, অ্যাসেম্বলি অফ ক্রাইস্ট স্কুল, অ্যাথলিড স্কুল ইন্টারন্যাশনাল, সিলভার পয়েন্ট স্কুল, অ্যান্ড্রু হাই স্কুল, নদীয়া পাবলিক স্কুল, দ্য অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুল, ভবনস গঙ্গাবক্স কানোরিয়া বিদ্যামন্দির, ইন্ডাস ভ্যালি ওয়ার্ল্ড স্কুল, ঘটকপুরের বিশপ জর্জ মিশন স্কুল, কালিধন ইনস্টিটিউশন, বাগুইআটির ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল, কমলা চ্যাটার্জি স্কুল ফর গার্লস, স্যার নৃপেন্দ্রনাথ গার্লস হাই স্কুল, কালিকাপুরের ক্যালকাটা পাবলিক স্কুল, যাদবপুর হাই স্কুল, ন্যাশনাল পাবলিক স্কুল, বামনঘাটা হাই স্কুল, জগবন্ধু ইনস্টিটিউশন, সেন্ট অ্যানস স্কুল, লেক স্কুল ফর গার্লস, হরিয়ানা বিদ্যামন্দির, ফিউচার হোপ স্কুল, বেলতলা গার্লস হাই স্কুল, শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন, যাদবপুর এন কে পাল আদর্শশিক্ষাতন প্রভৃতি।