২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে দেখা যাবে তো? একসময় আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। দরিভাল জুনিয়রের কোচিংয়ে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না ভিনিসিয়াস, রাফিনিয়ারা। ঘুরে দাঁড়াতে দরিভালকে সরিয়ে কার্লো আনসেলত্তির হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ব্রাজিল ফুটবল কর্তারা। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি আনসেলত্তি। বুধবার প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্যারাগুয়েকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট জোগাড় করে নিল ব্রাজিল। ম্যাচেপ একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
আগের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে জঘন্য ফুটবল উপহার দিয়েছিল ব্রাজিল। এদিন প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সম্পূর্ণ অন্য চেহারায়। গতিময় ও আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে প্যারাগুয়েকে। ভিনিসিয়াসদের দুর্ভাগ্য, গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেননি। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে মাত্র ৩ বার গোল লক্ষ্য করে শট নিতে পেরেছিলেন ব্রাজিল ফুটবলাররা। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ৭৩ শতাংশ বলের দখল রেখে ১১ বার গোল লক্ষ্য করে শট নেন ভিনিসিয়াস, মার্তিনেল্লি, রাফিনিয়ারা।
ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আক্রমণভাগের দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠেছিল। আক্রমণে গতি আনতে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেন ব্রাজিল কোচ কার্লো আনসেলত্তি। গারসন, এস্তেভাও এবং রিচার্লিসনের জায়গায় শুরু থেকেই মাঠে নামান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, রাফিনিয়া ও মাতেউস কুনিয়াকে। এই তিনটি পরিবর্তনেই বদলে যায় ব্রাজিল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল। প্রথম মিনিট থেকেই একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসেন রাফিনিয়ারা। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হলেও প্যারাগুয়ের জালে বল ঠেলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৪৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর ভিনিসিয়াসকে বাড়ান কুনিয়া। গোল করতে ভুল করেননি ভিনিসিয়াস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ব্রাজিলের খেলা কিছুটা গতিমন্থরতায় ভুগছিল। সেই সুযোগে প্যারাগুয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ব্রাজিলের গোলমুখে হানা দেয়। তবে ব্রাজিলের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। মিনিট দশেক পর ব্রাজিল আবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়। ৫৯ মিনিটে ব্রুনো গিমারেসের হেড থেকে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ম্যাচের শেষ দিকে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়েন ভিনিসিয়াসরা। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বে ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল দুই নম্বরে উঠে এল ব্রাজিল। সমসংখ্যক ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। এদিকে, বলিভিয়ার কাছে ২–০ ব্যবধানে হেরে ২০২৬ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের লড়াই থেকে ছিটকে গেল চিলি। ১৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের।
আরও পড়ুনঃ কাইথের ‘বিশাল’ ভুলে হংকংয়ের কাছে হেরে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার রাস্তা কঠিন করে ফেলল ভারত