বাংলার ফুটবলের আঁতুর ঘর জেলা। অধিকাংশ ফুটবলার জেলা থেকে উঠে এসে কলকাতা ময়দানে দাপিয়ে খেলছেন। অনেকেই দেশের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। অথচ জেলাস্তরে তেমন কোনও ফুটবল লিগের ব্যবস্থা নেই। জেলা থেকে নতুন ফুটবল প্রতিভা তুলে নিয়ে আসার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে শ্রাচী স্পোর্টস। আইএফএ–র সহযোগিতায় জেলাস্তরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগের আয়োজন করতে চলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে বেঙ্গল সুপার লিগ।
রাজ্যের সব জেলাকে নিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মোট ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। জেলাগুলিকে ৮টি জোনে ভাগ করা হবে। প্রতিটা জোন থেকে একটা করে দল গড়া হবে। প্রতিটা দল ২৫ জন করে ফুটবলার নিতে পারবে। এর মধ্যে ৩ জন বিদেশি। হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। সেমিফাইনালও হবে ডাবল লেগে। তবে ফাইনাল ম্যাচ হবে একটাই। প্রতিযোগিতায় মোট ৬১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ৪টি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। প্রতিযোগিতার সম্প্রচারের দায়িত্বে জি স্পোর্টস। বাংলা ছাড়াও অন্যান্য বেশ কয়েকটা রাজ্যে বেঙ্গল সুপার লিগের ম্যাচ সম্প্রচার করবে।
শ্রাচী গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল টোডির হাতে বেঙ্গল সুপার লিগের ব্যাটন তুলে দেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। এই ব্যাটন তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রাচী স্পোর্টসের হাতে বেঙ্গল সুপার লিগের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল। দেওয়ালির পর প্রতিযোগিতা শুরু হবে। চলবে ৮ সপ্তাহ ধরে। বেঙ্গল সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বান দত্তসহ শ্যাম থাপা, সমরেশ চৌধুরি, সাবির আলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গাঙ্গুলি, জামশেদ নাসিরি, প্রশান্ত ব্যানার্জি, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন, আলভিটো ডি’কুনহার মতো অনেক প্রাক্তন ফুটবলার।
আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত বলেন, ‘জেলা ফুটবলের দিকে না তাকালে বাংলার ফুটবলের উন্নতি হবে না। লক্ষ্য ছিল জেলা লিগের মাধ্যমে জেলাস্তরের ফুটবলারদের প্ল্যাটফর্ম দেওয়া। এই ব্যাপারে শ্রাচী স্পোর্টসের সঙ্গে ১ বছর ধরে আলোচনা চলছিল। অবশেষে আমাদের বেঙ্গল সুপার লিগের রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। আশা করছি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক প্রতিভা উঠে আসবে।’ শ্রাচী গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল টোডি বলেন, ‘বাংলার ফুটবলের ঐতিহাসিক দিন। বাংলার ফুটবলের আসল সাপ্লাই লাইন জেলা। এতদিন জেলা থেকে সঠিকভাবে ফুটবলার তুলে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বেঙ্গল সুপার লিগের লক্ষ্য জেলা থেকে ফুটবলার তুলে নিয়ে আসা।’