কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে শুরুর দিকে কেমন যেন অগোছালো ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। লিগ যত এগোচ্ছে, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মঙ্গলবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে উড়িয়ে দিল ৫–১ ব্যবধানে। দুরন্ত হ্যাটট্রিক সুহেল ভাটের। গত মরশুমে প্রতিভাবান ফুটবলারের স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য মর্যাদা দিলেন এই বাগান স্ট্রাইকার।
মোহনবাগানের কাছে টালিগঞ্জ ম্যাচ ছিল একপ্রকার মরণবাঁচনের। পয়েন্ট নষ্ট করলেই সুপার সিক্সের আশা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন সুহেল ভাটরা। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল মোহনবাগান। বিশেষ করে ডানদিক দারুণ সচল ছিল। রবি বাহাদুর রানা বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন।
রবি বাহাদুরের গড়ে তোলা আক্রমণেই ১৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। ডানদিক থেকে বল বাড়িয়েছিলেন রবি বাহাদুর। সুহেল ভাট পা ছুঁইয়েছিলেন। টালিগঞ্জের গোলকিপারের পায়ে লেগে পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৪ মিনিট পর সুহেলেরই শট বারে লেগে ফিরে আসে। ৩৮ মিনিটে ফারদিন আলি মোল্লার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান টালিগঞ্জের গোলকিপার অঙ্কুর দাস। নিরঙ্কুশ প্রাধান্য রেখেও প্রথমার্ধে গোল আসেনি মোহনবাগানের।
মোহনবাগানের গোলের ফ্লাডগেট খুলে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৫১ মিনিটে প্রীতম খাটুয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা সেন্টার হেডে গোলকিপার অঙ্কুরকে দিতে গিয়েছিলেন প্রীতম। অঙ্কুর বলের লাইন থেকে সরে এসেছিলেন। বল সরাসরি জালে চলে যায়। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সুহেল ভাট। ডানদিক থেকে একক প্রয়াসে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ডানপায়ের শটে গোল করেন।
৬২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন সুহেল। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা সালাউদ্দিনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুহেল। ৭৫ মিনিটে টালিগঞ্জের হয়ে ব্যবধান কমান শামিম হোসেন। ইনজুরি সময়ে মোহনবাগানের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুনঃ দৃষ্টান্ত রাখলেন সৌরভ, ফিরিয়ে দিলেন মোহনবাগান রত্ন–র পুরস্কার অর্থ