আইএসএলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বৃহস্পতিবার ঘরে মাঠে হায়দরাবাদ এফসি–কে হারাল ৩–০ ব্যবধানে। মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল টম আলড্রেড ও জেসন কামিংসের। একটা গোল আত্মঘাতী। এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা ৬টি ম্যাচে জয় মোহনবাগানের।
ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগানের দাপট ছিল। ৯ মিনিটেই স্টিফেন সাপিচের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা লম্বা সেন্টার ধরে মাইনাস করেন লিস্টন কোলাসো। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। হায়দরাবাদ এফসি গোলকিপার আংশিক প্রতিহত করেন। ফিরতি বল হায়দরাবাদের স্টিফান সাপিচের মাথায় লেগে গোলে ঢুকে যায়।
১৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। জেসন কামিংস দুর্দান্ত থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেনকে উদ্দেশ্য করে। হায়দরাবাদ গোলকিপার বেরিয়ে এসে কোণ ছোট করে দিয়েছিলেন। বক্সের বাঁদিকে এগিয়ে গিয়ে শট নিয়েছিলেন ম্যাকলারেন। বল পোস্টের বাইরের দিকে লেগে ফিরে আসে। ১৯ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল হায়দরাবাদ এফসি–র কাছে। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেছিলেন সাপিক। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ধরে নেন বিশাল কাইথ।
২৬ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। কামিংসের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁপায়ে গড়ানো জোরালো শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। দ্বিতীয় প্রয়াসে বল ধরেন হায়দরাবাদ এফসি গোলকিপার। ৪১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। সাপিক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। শরীর ছুঁড়ে দিয়ে দুরন্ত হেডে বল জালে পাঠান টম আলড্রেড। সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন। মোহনবাগান ফুটবলাররা তীব্র প্রতিবাদ জানালে রেফারি সরকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে গোলের সিদ্ধান্ত দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে হায়দরাবাদ রক্ষণ। ৫১ মিনিটেই ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সাহালের সেন্টার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন হায়দরাবাদের এক ডিফেন্ডার। বল তাঁর মাথা লাগার পর পেয়ে যান জেসন কামিংস। তিনি বল দেন ম্যাকলারেনকে। ম্যাকলারেনের পাস থেকে গোল করেন কামিংস। ৫৩ মিনিটে ৪–০ করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন টম আলড্রেড। ডানদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন কামিংস। ৬ গজ বক্সে থেকে বাইরে হেড করেন আলড্রেড।
৮৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলেন হায়দরাবাদের অভিজিৎ। বাগান গোলকিপারকে একা পেয়েও তিনি বিশাল কাইথের হাতে মারেন। ইনজুরি সময়ে আরও একটা সুযোগ এসেছিল অভিজিতের সামনে। এবার তিনি বাইরে মারেন। তবে তিন কাঠির নিচে হায়দরাবাদ গোলকিপার অপ্রতিরোধ্য হয়ে না উঠলে হাফডজন গোলে জিততে পারত মোহনবাগান। হায়দরাবাদকে হারিয়ে ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে মোহনবাগান। ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু এফসি।
আরও পড়ুনঃ সিডনিতে ফিরে এল ৫০ বছর পুরনো স্মৃতি, ব্যর্থতার জন্য শেষ টেস্ট থেকে নিজেকে ‘বাদ’ দিলেন রোহিত