উয়াড়ির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় জিয়ে লিগ অভিযান শুরু করেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। তারপরই হোঁচট। পরপর ২ ম্যাচে পয়েন্ট হারানের পর আবার জয়। আগের ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসের কাছেও হার। আবার জয়ের সরণিতে ফিরল সাদাকালো ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার পাঠচক্রকে হারাল ২–১ ব্যবধানে। শেষদিকে ১০ জনে খেলেও জয় তুলে নিল মহমেডান। মাঠ পরিবর্তন করতেই বদলে গেল সাদাকালো ব্রিগেড। আসলে নৈহাটির মাঠ যে মহমেডানের কাছে পয়া। এই মাঠেই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহমেডান।
নিজেদের মাঠ ভাল খেলার পক্ষে অন্তরায়। এটা বুঝে গিয়েছিলেন মহমেডান ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস। তাই নিজেদের মাঠ ছেড়ে নৈহাটি স্টেডিয়ামে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আইএফএ–এর কাছে মাঠ বদলের জন্য আবেদনও করেন। মহমেডানের আবেদন মঞ্জুর করে আইএফএ। সেইমতো আজ নৈহাটি স্টেডিয়ামে পাঠচক্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফেলা হয়েছিল। ভাল মাঠ পেয়ে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকেন রবিনসন সিং, ইসরাফিল দেওয়ান, জেমস সিং, তন্ময় ঘোষরা।
নৈহাটি স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই গঠনমূলক ফুটবল উপহার দিচ্ছিল সাদাকালো ব্রিগেড। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন রবিনসন ইসরাফিল দেওয়ানরা। আক্রমণে বৈচিত্র্য ছিল। চাপ বজায় রেখে ম্যাচের ২১ মিনিটে এগিয়ে যায় মহমেডান। প্রথমে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন রবিন সিংয়ের। পাঠচক্রের এক ডিফেন্ডার গোল লাইন থেকে সেভ করেন। ফিরতি বল পেয়ে যান তন্ময় ঘোষ। তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে বাঁপায়ের শটে গোল করেন ইসরাফিল দেওয়ান। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরও বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মহমেডান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরে পাঠচক্র। ৪৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় পাঠচক্র। বক্সের মধ্যে জসিমের হাতে বল লাগরে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান দেবাশিস হালদার। পেনাল্টি নিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করায় মহমেডান কোচ হাকিম সেনজেন্দোকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে একটু ছন্নছাড়া ছিল মহমেডান। মহীতোষ রায় নামার পর আবার চেনা ছন্দে। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে একের পর সুযোগ তৈরি করতে থাকে।
৮৭ মিনিটের মাথায় আবার ধাক্কা খায় মহমেডান। জঘন্য ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জেমস সিংহকে। ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরও জয়ের আশা ছাড়েনি মহমেডান। ১৪ মিনিট ইনজুরি সময় দেন রেফারি। অবশেষে ইনজুরি সময়ের ৩ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে লালথানকিমাকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় মহমেডান। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জেতান মহীতোষ রায়। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এলে মহমেডান। ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টে শীর্ষে সুরুচি সঙ্ঘ। ২ ম্যাচ কম খেলে ১৩ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে ডায়মন্ডহারবার এফসি।
আরও পড়ুনঃ দর্শক তান্ডব, ২ ঘন্টা ম্যাচ বন্ধ, শেষ বাঁশি বাজার পর আবার খেলা, বিতর্কিত ম্যাচে হার আর্জেন্টিনার