বিতর্ক দিয়ে শুরু হল অলিম্পিক ফুটবল। চূড়ান্ত নাটক আর্জেন্টিনা–মরক্কো ম্যাচে। রেফারি ১৫ মিনিট ইনজুরি সময় দিয়েছিলেন। ইনজুরি সময় অতিক্রান্ত হলেও পরও খেলা চলছিল। রেফারি তখনও খেলা শেষের বাঁশি বাজাননি। সেই সময় ২–১ ব্যবধানে এগিয়েছিল মরক্কো। ইনজুরি সময়ের ১৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে সমতা ফেরান নিকোলাস মেদিনা।
প্রথমে রেফারি গোলটি বৈধ ঘোষণা করে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান। এরপরই মরক্কো সমর্থকরা মাঠে নেমে পড়েন। আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে বোতল ছুঁড়তে থাকেন। নিকোলাস মেদিনার দিকে তেড়ে যান মরক্কো সমর্থকরা। ধাক্কাও মারেন। নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এসে কোনও রকমে রক্ষা করেন মেদিনাকে। মরক্কো সমর্থকদের তাড়া করে মাঠ থেকে বার করে দেয়।
তখনও বোঝা যায়নি রেফারি ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন কিনা। এরপর দর্শকদের স্টেডিয়াম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দর্শকরা স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে গেলেও ফুটবলাররা মাঠে ছিলেন। দীর্ঘ বিতর্কের পর রেফারি ভিডিও রিপ্লে দেখে অফসাইডের জন্য মেদিনার গোলটি বাতিল করেন। প্রায় ২ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। ইনজুরি সময়ের আরও ৩ মিনিট খেলা হয়। যদিও আর্জেন্টিনা আর সমতাসূচক গোলটি করতে পারেনি। ২–১ ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করা হয় মরক্কোকে।
অলিম্পিকে সাধারণত অনূর্ধ্ব ২৩ দল খেলানো হয়। কিন্তু সব দলই ২৩ বছরের বেশি ৩ জন ফুটবলারকে খেলাতে পারে। আর্জেন্টিনা কোচ জেভিয়ের মাসচেরানো ৩ সিনিয়র ফুটবলার নিকোলাস ওটামেন্ডি, হুলিয়ান আলভারেজ ও হেরোনিমো রুয়িকে মাঠে নামিয়েছিলেন। দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও মরক্কোর প্রাধান্য বেশি ছিল। তার মাঝেই ১৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি হুলিয়ান আলভারেজ। ২৭ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আবার এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল ওটামেন্ডির সামনে। তিনিও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে এল খানোসের নীচু সেন্টার থেকে মরক্কোকে এগিয়ে দেন সুফিয়ান রাহিমি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২–০ করে মরক্কো। ৪৯ মিনিটে নিজেদের বক্সের মধ্যে আখোমাচকে ফাউল করেন আর্জেন্টিনার হুলিও সোলের। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান রাহিমি। ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। ৬৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে ব্যবধান কমান জুলিয়ানো সিমিওনে। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। ইনজুরি সময়ের ১৬ মিনিটে মরক্কোর জালে বল ঢুকিয়েও শেষরক্ষা হল না।
অন্য ম্যাচে, স্পেন ২–১ ব্যবধানে হারিয়েছে উজবেকিস্তানকে। মার্ক পুবিলের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান এলডর শোমুরদভ। ৬২ মিনিটে স্পেনের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সার্জিও গোমেজ।