বার্সিলোনার সঙ্গে ‘এল ক্ল্যাসিকো’ নয়। কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালও নয়। তা সত্ত্বেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তিল ধারণের জায়গা নেই! মাঠে ৮০ হাজার দর্শক! স্টেডিয়ামের বক্সগুলিও আগে থেকেই ভর্তি! এমবাপেকে বরণ করে নিতে আবেগে ভাসল সান্টিয়াগো বার্নাব্যু।
সই–সাবুদ পর্ব আগেই মিটে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল রিয়েল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপেকে বরণ করে নেওয়ার পালা, সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয়পর্ব। টানেলের সিঁড়ি বেয়ে যখন মাঠে প্রবেশ করছিলেন স্বপ্নের নায়ক, বার্নাব্যুর গ্যালারিতে সমুদ্রগর্জন, যেন পৌঁছে যাচ্ছিল প্যারিসে, পিএসজি–র ড্রেসিংরুমে। রিয়েল সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাস দেখে এমবাপেও যেন আবেগে ভাসছিলেন, স্বপ্নপূরণের। স্বপ্নপূরণ রিয়েল মাদ্রিদেরও, যে স্বপ্নের পেছনে ২০১৭ সাল থেকে ছুটে চলেছিলেন কর্তারা। কিলিয়ান এমবাপে নামক তারকাকে দলে নেওয়ার আশায়। অবশেষে ২০২৪ সালে এসে স্বপ্নপূরণ।
এবছর জুন মাসে এমবাপের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করে রিয়েল মাদ্রিদ। আনুষ্ঠানিক পরিচয়পর্ব বাকি ছিল। আগেই ঠিক হয়েছিল, ইউরো কাপের পর পরিচয়পর্ব মিটিয়ে ফেলা হবে। সেটাও আজ হয়ে গেল। সমর্থকদের সামনে ঐতিহ্যবাহী ৯ নম্বর জার্সি তুলে দেওয়া হল এমবাপের হাতে। জার্সি তুলে দেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। হাজির ছিলেন ফ্রান্সের কিংবদন্তি রিয়েলের ঘরের ছেলে ও কোচ হিসেবে তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো জিনেদিন জিদান। দর্শক আসনে ছিলেন এমবাপের মা ফাইজা লামারিও।
সমর্থকদেন উদ্দেশ্যে এমবাপে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই রিয়েলে লার স্বপ্ন দেখেছি,। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হল। রিয়েলে যোগ দিয়ে অবিশ্বাস্য লাগছে। সত্যিই আমি সুখী। এখানে নিয়ে আসার জন্য ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে ধন্যবাদ। আমার আরও একটা স্বপ্ন রয়েছে। ক্লাবের ইতিহাসের অংশ হতে চাই। ক্লাবের সাফল্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করব।’ এরপরই তিনি বলে ওঠেন ‘আলা মাদ্রিদ।’ বার্নাব্যুর গ্যালারিতে তখন গর্জন, ‘আলা মাদ্রিদ।’ চোখে তখন জল ফাইজা লামারির। ছেলের মতো আবেগের।
আরও পড়ুনঃ আঘাতে মুখ বিকৃতি হয়ে যাবে, বিয়ের পাত্র মিলবে না, মায়ের আপত্তি উপেক্ষা করেও বক্সিংয়ে নিখাত জারিন
আরও পড়ুনঃ ডার্বি জয়ের পর হোঁচট, টানা ৩ ম্যাচ পর ড্র, কাস্টমসের কাছে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল