২০২০ সালের ইউরোর ফাইনালে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল সাকাকে। ৪ বছর ধরে ইউরো কাপে ব্যর্থতার সেই আক্ষেপ বুকে বেড়াচ্ছেন। সাকার সামনে শাপমোচনের সুযোগ এনে দিলেন ওলি ওয়াটকিন্স। ম্যাচের একেবারে শেষলগ্নে করা তাঁর গোলে বাজিমাত ইংল্যান্ডের। হল্যান্ডকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে পরপর দু’বার ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। রবিবার ফাইনালে সামনে স্পেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই কমলা ঝড়। মনে হচ্ছিল কমলা ঝড়ের সামনে উড়ে যাবে ‘থ্রি লায়ন্স’রা। ম্যাচের ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় হল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বক্সের সামনে ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোলার মতো শটে হল্যান্ডকে এগিয়ে দেন জাভি সিমন্স। ইংল্যান্ড গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে এই অগ্রগমন বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি হল্যান্ড। ম্যাচে ফিরতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি গ্যারেথ সাউথগেটের দলের। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। ১৯ মিনিটে হ্যারি কেনের শট আটকাতে গিয়ে তাঁকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ডেনজিল ডামফ্রিস। বিপজ্জনকভাবে পা চালিয়েছিলেন। রেফরি ভিডিও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান কেন।
সমতা ফেরানোর পর ইংল্যান্ড পুরোপুরি ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। একের পর এক আক্রমণন তুলে নিয়ে আসছিলেন ফিল ফোডেন, বুকায়ো সাকা, রাইসরা। ২৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের সামনে। ফিল ফোডেনর পুশ গোললাইন থেকে বাঁচান ডামফ্রিস। ২৯ মিনিটে পেনাল্টি হজমের প্রায়াশ্চিত্য করার সুযোগ এসেছিল তাঁর সামনে। ডামফ্রিসের হেড বারে লাগে। ৩২ মিনিটে ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেনের একটা শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সতর্কভাবে শুরু করেছিল দুই দলই। কেউই ঝুঁকি নিতে চায়নি। খেলা গতি মন্থরতায় ভুগতে থাকে। এর মধ্যে ৬৫ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ভার্জিল ফান ডাইকের নেওয়া হেড অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বাঁচান ইংল্যান্ড গোলকিপার সিমন। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে কাইল ওয়াকারের পাস থেকে হল্যান্ডের জালে বল পাঠিয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। অফসাইডের জন্য গোলটি বাতিল হয়। এরপরই দুটি চমকে দেওয়ার মতো দুটি পরিবর্তন করেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ফিল ফোডেনের জায়গায় মাঠে নিয়ে আসেন কোল পালমারকে, আর হ্যারি কেনের জায়গায় ওলি ওয়াটকিন্সকে। এই জুটিই ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত প্লেসিংয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন ওয়াটকিন্স।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl