পথ চলা শুরু হল বিশপ ক্যানিং–আর্টেজ স্পোর্টস অ্যাকাডেমির। বৃহস্পতিবার খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই স্পোর্টস অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন রেভারেন্ট ডঃ পরিতোষ ক্যানিং। শুধুমাত্র স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে এই অ্যাকাডেমি সীমাবদ্ধ থাকবে না। গ্রাম–গঞ্জের দরিদ্র পরিবারের তরুণ প্রতিভাদের তুলে নিয়ে এসে অ্যাকাডেমিতে স্থান দেওয়া হবে। সেন্ট থমাস স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাও করবে।
বিশপ ক্যানিং–আর্টেজ স্পোর্টস অ্যাকাডেমির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ডগলাস ডি’সিলভা। এছাড়া স্থানীয় দুজন কোচ তাঁকে সাহায্য করবেন। আবার কলকাতায় ফিরতে পেরে খুশি ডগলাস। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ। ফুটবলের জন্য কাজ করার এটাই সেরা সুযোগ। এর আগে আমি মোহনবাগানের দুর্গাপুর ফুটবল আ্যকাডেমিতে কাজ করেছি। বেশ কয়েকজন ফুটবলার এই অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছে। দুর্গাপুর ফুটবল আ্যকাডেমি থেকে উঠে এসেই দীপক টাংরি আইএসএল খেলছে। আশা করছি বিশপ ক্যানিং–আর্টেজ স্পোর্টস অ্যাকাডেমি থেকেও এইরকম ফুটবলার তুলে নিয়ে আসতে পারব।’
ডগলাস ছাড়াও এদিন অ্যাকাডেমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো, কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার, বিশিষ্ট শিল্পপতি সুরেশ শেঠিয়া, ইস্টার্ন রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার কৌশিক মিত্র, খিদিরপুর সেন্ট থমাস স্কুলের প্রিন্সিপাল সুমন বিশ্বাস, আর্টেজ স্পোর্টসের কর্ণধার জয়দীপ মুখার্জি প্রমুখ। ফুটবলে লাথি মেরে অ্যাকাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে রেভারেন্ট ডঃ পরিতোষ ক্যানিং। তিনি বলেন, ‘এই আ্যকাডেমির কার্যকলাপ শুধু স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা তরুণ প্রতিভাদের অ্যাকাডেমিতে সুযোগ করে দেব।’
অ্যাকাডেমির খুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলিত হন ব্যারেটো। তিনি বলেন, ‘ডগলাস কিন্তু খুব ভাল শিক্ষক। খেলোয়াড়ী জীবনে দেখেছি, জুনিয়দের দারুণভাবে গাইড করতে। ওর প্রশিক্ষণে নবীন প্রতিভা উঠে আসবে।’ আর্টেজের কর্ণধার জয়দীপ মুখার্জি বলেন, ‘৩–৪ মাস অপেক্ষা করুন। বাংলা এই আ্যকাডেমির সুফল পাবে।’
আরও পড়ুনঃ আবার আইপিএলে ফিরছেন, রাজস্থানের দায়িত্ব নিচ্ছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ‘হেড স্যার’
আরও পড়ুনঃ প্যারিস প্যারালিম্পিকে তিরন্দাজিতে সোনা জিতে ইতিহাস ‘ডক্টরেট’ হরবিন্দারের