দুই প্রধানের যাবতীয় লড়াই শেষ। প্রত্যাশামতোই ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে সই করে দিয়েছেন আনায়োর আলি। লাল–হলুদের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে চুক্তির কথা ঘোষণা করে হয়েছে। ৫ বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছেন আনোয়ার। এদিন ডুরান্ড কাপের জন্যও তাঁকে নথিভূক্ত করানো হয়েছে।
রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতা পৌঁছন আনোয়ার। সোমবারই ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সেরে ফেলেছিলেন। পল্টু দাসের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ক্লাবের মঙ্গলবার ক্রীড়া দিবসে আনোয়ারের সঙ্গে চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়। যদিও ৫ বছরের জন্য কত টাকা পাচ্ছেন আনোয়ার, তা অবশ্য ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এদিন তাঁকে সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়। লাল–হলুদ উত্তরীয় দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় আনোয়ারকে। ক্লাবের জার্সি তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে যোগ দিতে পেরে গর্বিত অনোয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে সত্যিই আমি সম্মানিত। রবিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে যেরকম অভ্যর্থনা পেয়েছি, সত্যিই ভাবা যায় না। সমর্থকদের এই ভালোবাসা ও আবেগের মর্যাদা দেওয়া আপ্রান চেষ্টা করব। নতুন ক্লাব ও সমর্থকদের জন্য সেরাটা উজাড় করে দেব। লাল–হলুদ জার্সি গায়ে চাপানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
ডুরান্ড কাপের জন্য আনোয়ার আলিকে নথিভূক্ত করানো হলেও ডার্বিতে কি আদৌও খেলতে পারবেন তিনি? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। ১৮ আগস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বি। ২২ আগস্ট প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি আনোয়ারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ফলে ডার্বিতে হয়তো মাঠে নামা সম্ভব হবে না আনোয়ারের। তবে লাল–দলুদ কর্তাদের মতে, ডুরান্ড ডার্বিতে খেলতে অসুবিধা হবে না আনোয়ারের। কারণ, ফেডারেশনে তো নথিভূক্ত হয়ে গেছেন। এখন তো তিনি ইস্টবেঙ্গলের বৈধ ফুটবলার।
আনোয়ারকে পেয়ে দল আরো শক্তিশালী হল বলে মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, ‘আনোয়ার আসায় আমাদের জাতীয় দলের আরও এক ফুটবলার বাড়ল। ওর অভিজ্ঞতা ইতিবাচক ভূমিকা নেবে। আগামী কয়েক বছরের কথা মাথায় রেখে যে মানের দল আমরা গড়ছি আনোয়ার দারুণ মানানসই। আমাদের রক্ষণভাগ আরও শক্তিশালী হল।’
আরও পড়ুনঃ ডুরান্ড কাপে মহমেডানের সান্তনা গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে জয়
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেট জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছে ঋদ্ধিমানের!