জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল। সাময়িক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশ। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে না ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পর আবার ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। তবে শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, যশপ্রীত বুমরা, বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা নন। লড়াইয়ে নামবেন হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, শাহিদ আফ্রিদিরা।
২০ জুলাই ইংল্যান্ডে একটা প্রদর্শনী টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ড নামে এই প্রতিযোগিতায় এজবাস্টনেস ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। দুই দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এই প্রদর্শনী টুর্নামেন্টে খেলবেন। ভারতীয় দলের হয়ে মাঠে নামবেন যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠানের মতো প্রাক্তন তারকারা। পাকিস্তানের হয়ে শাহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শোয়েব আখতারের মতো প্রাক্তন তারকারা খেলবেন।।
এই ম্যাচ ঘিরে যে উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পর শাহিদ আফ্রিদি ভারত সম্পর্কে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদি বেশ কয়েকবার সমালোচিত হয়েছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, পহেলগাঁওয়ে ভারত নিজেরাই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে দোষ দিয়েছে। আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসীরা এক ঘন্টা ধরে পহেলগাঁয়ে মানুষ হত্যা করতে থাকে। ৮ লক্ষের মধ্যে একজন ভারতীয় সৈন্যও সেই সময় আসেনি। ভারত নিজেই সন্ত্রাসবাদ চালায়, নিজের লোকদের হত্যা করে এবং তারপর পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপায়।’ আফ্রিদির এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
আফ্রিদি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা সবসময় শান্তিকে সমর্থন করি। ইসলাম আমাদের কেবল শান্তির শিক্ষা দেয়, এবং পাকিস্তান কখনও এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না। আমরা সবসময় ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেছি। ভারত সফরের আগে আমরা অনেক হুমকি পেয়েছিলাম। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের সময় আমি অধিনায়ক ছিলাম, এবং আমরা যাব কিনা তা আমার কোনও ধারণা ছিল না। ক্রীড়া কূটনীতিও ভাল। তারা তাদের কাবাডি দল এখানে পাঠায়, কিন্তু তারা তাদের ক্রিকেট দল পাঠাতে পারে না।’