চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। হাতে দু’মাসেরও কম সময়। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। অচলাবস্থায় বাংলাদেশ। মাস দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা, নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসি। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভারত, সংযুক্ত আরব আমীরশাহী ও শ্রীলঙ্কার কথাও ভেবে রেখেছে আইসিসি।
তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার থেকে সংযুক্ত আরব আমীরশাহী এগিয়ে। কারণ অক্টোবরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কায় বৃষ্টি হয়। ভারতের ব্যাপারেও একটু সমস্যা রয়েছে। পাকিস্তান দলকে ভিসা দিতে টালবাহনা করে ভারত সরকার। ২০২৩ সালে পুরুষদের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে যেটা দেখা গেছে। সমর্থকদের ভিসা দেওয়া হয়নি। মাত্র কয়েকজন সাংবাদিককে দেওয়া হয়েছিল, তাও বিশ্বকাপ শুরুর পর। সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে অবশ্য কোনও সমস্যা নেই।
৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০টি দলকে নিয়ে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা বাংলাদেশে। সেই সময় পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা এখনই বলা কঠিন। এই অবস্থায় আইসিসি ঝুঁকি নিতে চায় না। বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে সবকিছু দেখভাল করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। তিনি আবার ছিলেন দেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। সরকারের পতনের পর তিনি অস্তিত্বহীন। নতুন কে বোর্ড সভাপতি হন, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ এইরকম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দল পাঠাতে রাজি হবে কিনা, সেটাও একটা ব্যাপার।
আইসিসি–র এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সব রকম সম্ভাবনার দরজাও খোলা রাখা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা পরামর্শদাতা ভালভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবে। তারপরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অংশগ্রহণকারী দলগুলির নিরাপত্তাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে।’ ইতিমধ্যে মহিলাদের টি ২০ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সরকার সেদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আজ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল। আপাতত সফর দুদিন স্থগিত রাখা হয়েছে। বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেতে পারবে না। বাংলাদেশ সিনিয়র দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ১৭ আগাস্ট। ২১ আগাস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট শুরু। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাব দিয়েছে আগেই দল পাঠাতে।