ব্যর্থ দিল্লি–চেন্নাইয়ের লড়াই, গুকেশ–লিরেনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব সিঙ্গাপুরের
দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের জন্য তীব্র লড়াই ছিল দিল্লি ও চেন্নাইয়ের মধ্যে। পেছনে ফেলে বাজিমাত সিঙ্গাপুরের। দুই শহরকে পেছনে ফেলে বিশ্ব দাবা সংস্থা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছে।
ডি গুকেশ ও ডিং লিরেন
স্পোর্টস টাইম ওয়েব ডেস্ক
শেষ আপডেট: জুলাই ০১, ২০২৪
Share on:
দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের জন্য তীব্র লড়াই ছিল দিল্লি ও চেন্নাইয়ের মধ্যে। জাতীয় দাবা সংস্থা ফাইনালের জন্য দিল্লির নাম প্রস্তাব করেছিল। অন্যদিকে, তামিলনাডু সরকার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের জন্য আলাদা করে বিড পাঠিয়েছিল। দিল্লি ও চেন্নাইকে পেছনে ফেলে বাজিমাত সিঙ্গাপুরের। বিশ্ব দাবা সংস্থা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছে।
চলতি বছরের শেষের দিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হবেন চীনের গ্র্যান্ডমাস্টার ডিং লিরেন এবং ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ডি গুকেশ। ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের জন্য ভারতীয় দাবা সংস্থা ও তামিলনাডু সরকার বিড পাঠিয়েছিল দিল্লি ও চেন্নাইয়ের জন্য। ডি গুকেশ যেহেতু ভারতীয়, তাই নিরক্ষেপ ভেন্যু হিসেবে সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছে বিশ্ব দাবা সংস্থা। চেন্নাই এবং দিল্লি এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেছে। তামিলনাড়ুর রাজধানীতে ২০১৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২২ সালে দাবা অলিম্পিয়াডেরও আয়োজন করেছিল। অন্যদিকে, ২০০০ সালে দিল্লি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথমার্ধ আয়োজন করেছিল। ফাইনাল অর্ধ তেহরানে হয়েছিল। যেখানে বিশ্বনাথন আনন্দ তাঁর প্রথম বিশ্ব শিরোপা জিতেছিল।
ফিডে প্রেসিডেন্ট আরকাদি ডভোরকোভিচ বলেছেন, ‘ফিডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের একটা ম্যাচ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে। সিঙ্গাপুর শুধুমাত্র সবচেয়ে আইকনিক বৈশ্বিক পর্যটন এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র নয়, এখানে দাবার অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাই এখানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ এবছর ২০ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
এবছর এপ্রিলে টরন্টোতে ক্যান্ডিডেটস দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস তৈরি করেন ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ডি গুকেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য সবচেয়ে কম বয়সী চ্যালেঞ্জার হয়েছেন। ভেঙে দিয়েছেন গ্যারি কাসপারভের রেকর্ড। ২২ বছর বয়সে বিশ্ব খেতাবের জন্য লড়াই করেছিলেন কাসপারভ। অন্যদিকে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন গুকেশ। বিশ্বনাথন আনন্দর পর তাঁর সামনে সুযোগ দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আনন্দ ৫ বার বিশ্বসেরা হয়েছেন। গুকেশের কাছে এবার কিন্তু সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কারণ, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেন এই মুহূর্তে সেরা ছন্দে নেই। গুকেশ চ্যাম্পিয়ন হলে গ্যারি কাসপারভের সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডও ভেঙে যাবে।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl