দাবায় নতুন প্রতিভা তুলে নিয়ে আসার পাশাপাশি বরাবরই মহৎ কাজে এগিয়ে এসেছে মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমি ও চেসমিট ফাউন্ডেশন। কয়েকবছর ধরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আবার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এল এই দুই সংস্থা। মহান উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য ২০ জুলাই আন্তর্জাতিক দাবা দিবসে দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে তুলে দিল থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির হাতে। তাদের এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিল রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা আভিয়ানা এবং লেক ক্লাব। 

অপেশাদার দাবাড়ুদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমি ও চেসমিট ফাউন্ডেশন। লেক ক্লাবে একদিনের এই দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ড: পার্থ সারথি গাঙ্গুলি। হাজির ছিলেন নীতীশ শিট। প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে হাজির ছিলেন, গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভ গুহ, আন্তর্জাতিক মাস্টার আরন্যক ঘোষ। প্রতিযোগিতার বিরতিতে থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে আলোচনাচক্রে অংশ নেন বিশিষ্ট চিকিৎসক রমেন্দু হোম চৌধুরি। এদিন থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির হাতে মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমি ও চেসমিট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্পোরেট জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও খুদে দাবাড়ুরাও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। বাংলার কয়েকজন গ্র‌্যান্ডমাস্টারের বাবা–মাও এই মহৎ উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সিনিয়র মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অরুন্ধতী মুখার্জি। পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অক্ষয় পাত্র। রেটেড বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দেবপ্রিয়া মান্না। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্য দাবা সংস্থার সভাপতি গ্র‌্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। হাজির ছিলেন লেক ক্লাবের ক্রীড়া বিভাগের চেয়ারম্যান সুবীর ব্যানার্জি, চেসমেট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মধুরিমা সেনগুপ্ত বন্দোপাধ্যায়প্রমুখ।