২০১২ সালে লন্ডনে অলিম্পিকে ভারতের প্রথম পদক এসেছিল সাইনা নেহালের হাত ধরে। ২০১৬ রিও–তে রুপো জিতেছিলেন পিভি সিন্ধু, ২০২০ টোকিও–তে ব্রোঞ্জ। এবার প্যারিস অলিম্পিকেও ব্যাডমিন্টনে পদকের স্বপ্ন দেখেছিল দেশবাসী। কিন্তু ১২ বছর পর অলিম্পিক ব্যাডমিন্টনে খালি হাত ভারতের। আগেই বিদায় নিয়েছিলেন সিন্ধু, সাত্ত্বিক, চিরাগরা। ব্রোঞ্জ জয়ের লড়াইয়ে ব্যর্থ লক্ষ্য সেনও। প্রথম গেম জিতেও হেরে গেলেন মালয়েশিয়ার লি জি জিয়ার কাছে।
এবারের অলিম্পিকে অবাছাই হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। গ্রুপ লিগ থেকে কখনও মনে হয়নি তিনি অবাছাই। প্রতিটা ম্যাচেই দারুণ খেলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পদক জিততে পারলেন না। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে সপ্তম বাছাই মালয়েশিয়ার জি জিয়াওয়ের বিরুদ্ধে দারুণ শুরু করেছিলেন লক্ষ্য সেন। প্রথম গেমের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকেন। একসময় ১১–৫ ব্যবধানে এগিয়ে যান। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি মালয়েশিয়ার শাটলার। শেষ পর্যন্ত দাপট বজায় রেখে ২১–১২ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে নেন।
দ্বিতীয় গেমেও একইভাবে দাপট রেখে শুরু করেছিলেন লক্ষ্য সেন। একের পর এক পয়েন্ট তুলে নিয়ে লিড বাড়াতে থাকেন। একসময় ৮–৩ ব্যবধানে এগিয়ে যান লক্ষ্য। মনে হচ্ছিল লক্ষ্যর ব্রোঞ্জ জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরপরই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন জি জিয়ার। স্ট্র্যাটেজি বদলে লক্ষ্যকে নেটের কাছাকাছি খেলতে বাধ্য করেন। একের পর এক ভুল করতে থাকেন লক্ষ্য। সেই সুযোগে পরপর ৯টা পয়েন্ট তুলে নিয়ে ১২–৮ পয়েন্টে এগিয়ে যান জি জিয়াও। এই অবস্থায় আবার ম্যাচে ফেরেন লক্ষ্য। ১২–১২ করে ফেলেন। এরপর লড়াই দারুণ জমে ওঠে। তবে শেষপর্যন্ত আর স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারেননি লক্ষ্য। ২১–১৬ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম জিতে সমতা ফেরান জি জিয়াও।
তৃতীয় গেমে অবশ্য লক্ষ্যকে আর কোনও সুযোগ দেননি মালয়েশিয়ার এই শাটলার। প্রথম থেকেই একের পর এক পয়েন্ট তুলে নিয়ে লিড নিতে থাকেন। রিটার্ন শটে বারবার ভুল করেন লক্ষ্য। সেই সুযোগে ১৫–৭ ব্যবধানে এগিয়ে যান জি জিয়াও। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না লক্ষ্য সেনের। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় গেম ২১–১১ ব্যবধানে জিতে ব্রোঞ্জ দখল করেন জি জিয়াও।
আরও পড়ুনঃ ডুরান্ড কাপে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচ, তৈরি মহমেডানের তরুণ ব্রিগেড
আরও পড়ুনঃ সালাউদ্দিনের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে বেলাইন রেল, সুপার সিক্সের আশা বেঁচে রইল বাগানে