২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা তিন ম্যাচ হারের পর ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে জয়ের সরণিতে ফিরেছিল ব্রাজিল। মনে হচ্ছিল, ব্রাজিলের সুদিন হয়তো ফিরতে চলেছে। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে জয়ের পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল কোচ দরিভালের। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তো বলেই ফেলেছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবেন। ফাইনাল খেলা তো দুরের কথা, বিশ্বকাপে যোগ্যতাঅর্জন করতে পারবে তো? আশঙ্কাটা আবার তৈরি হল। আত্মতুষ্টির খেসারত দিয়ে আবার হারের সরণিতে। এবার প্যারাগুয়ের কাছে হার ১–০ ব্যবধানে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একের পর হারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে এটাই কি সবথেকে জঘন্য দল? ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পেলেও প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে জঘন্য ফুটবল উপহার দিয়ে হার। অথচ ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, লুকাস পাকেতা, গ্যাব্রিয়েল, দানিলো, অ্যালিসনের মতো ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সেরা তারকারা। গোটা ম্যাচে ব্রাজিলকে এদিন জার্সি দেখে চিনতে হচ্ছিল। সারাক্ষণই দাপট দেখিয়ে গেল প্যারাগুয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ শানিয়ে ২০ মিনিটেই গোল তুলে নেয় প্যারাগুয়ে। ভেসে আসা সেন্টার ব্রাজিলের রক্ষণ থেকে প্রতিহত হয়ে ফিরে এলে বক্সের বাইরে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে যান প্যারাগুয়ে মিডফিল্ডার দিয়েগো গোমেজ। ব্রুনো গিমারেজ তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আগেই বুটের ডগা দিয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দেন গোমেজ। প্রথমার্ধে ব্রাজিল একবারও প্যারাগুয়ের গোলের সামনে পৌঁছতে পারেনি। দারুণ হতাশ করেন তরুণ স্ট্রাইকার এনড্রিক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এনড্রিককে তুলে পেড্রোকে নামান দরিভাল। পরে রড্রিগোর পরিবর্তে লুকাস মউরাকে মাঠে নিয়ে আসেন দরিভাল। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে ১৬ বছর পর প্যারাগুয়ের মাটিতে হার স্বীকার করতে হল ব্রাজিলকে। প্যারাগুয়ের কাছে হেরে ২০২৬ বিশ্বকাপ লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে লিগ টেবিলে ৫ নম্বরে নেমে গেল ব্রাজিল। শেষ ৫ ম্যাচে এটা ব্রাজিলের চতুর্থ হার। ৮ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ১০। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ৭ নম্বরে সাতে উঠে এল প্যারাগুয়ে। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।