মুম্বই সিটি এফসি বরবারই মোহনবাগানের কাছে শক্ত গাঁট। জয়ের পরিসংখ্যানে অনেকটাই এগিয়ে মুম্বই। গতবছর এপ্রিলে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম জয় পেয়েছিল মোহনবাগান। মুম্বইকে হারিয়ে জিতেছিল লিগ–শিল্ড। ১৯ দিন যেতে না যেতেই প্রতিশোধ। মোহনবাগানকে হারিয়ে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই সিটি। এবছর আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয় অধরা থেকে গেল মোহনবাগানের। প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। ম্যাচের ফল ২–২। নির্ধারিত সময়ের অন্তিমলগ্নে গোল করে দলকে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দিলেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা থায়ের ক্রৌমা।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ঝটকা দিয়ে গিয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি। ৪ মিনিটে ছাংতের কাছ থেকে বল পেয়ে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন জন টোরাল। বল গোলের দিকেই যাচ্ছিল। অহেতুক গোলমুখী বলে পা ছোঁয়ান বিপিন রাই। বল জালে জড়ালেও বিপিন অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল হয়। বিপিন পা না ছোঁয়ালেও বল গোলে যেত। মোহনবাগান প্রথম আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে ৮ মিনিটে। আশিস রাইয়ের সেন্টার বিপদমুক্ত করেন তিরি।
পরের মিনিটেই এই প্রাক্তনীর আত্মঘাতী গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বাঁদিক থেকে ৬ গজ বক্সের মধ্যে নীচু সেন্টার করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। বল ধরতে গিয়ে পা পিছলে যায় মুম্বই সিটি গোলকিপার লাচেনপার। তাঁর হাত ছুঁয়ে বল তিরির গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে আরও ঝড় তোলে মুম্বই। ১৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কারেলিস। ডানদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন ছাংতে। সুবিধাজনক জায়গা থেকে বল বাইরে হেড করেন কারেলিস।
এরপর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলা জমে ওঠে। ২৮ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান বাড়ান আলবার্তো রডরিগেজ। ডানদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন আশিষ রাই। হেডে বল নামিয়ে দেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ৬ গজ বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বাঁপায়ের পুশে বল জালে জড়িয়ে দেন আলবার্তো রডরিগেজ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল মুম্বই সিটির সামনে। কিন্তু কারেলিস, বিপিন রাইরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমার্ধে খেলার ফল থাকে ২–০।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে দুই দলকে তেমন ছন্দে দেখা যায় নি। ফলে সেভাবে গোলের সুযোগও তৈরি হচ্ছিল না। তবে মুম্বইয়ের আক্রমণের চাপ বেশি ছিল। কারণ ম্যাচে ফেরার তাগিদটা তাদেরই বেশি। অবশেষে ম্যাচের ৭০ মিনিটে ভুলের প্রায়াশ্চিত্য করেন তিরি। কর্নার থেকে বল পেয়ে সেন্টার করেছিলেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা নৌফল পিএন। ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া তিরির শট মোহনবাগানের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচের ৯০ মিনিটে সমতা ফেরায় মুম্বই। বল নিয়ে বাঁদিক থেকে উঠে এসে মাইনাস করেছিলেন নৌফল। ডানপায়ের হালকা পুশে গোল করে দলকে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট এনে দেন ‘সুপার সাব’ ক্রৌমা।
আরও পড়ুনঃ আনোয়ার আলির শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিকে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের