আইএসএলের লিগ পর্বের শেষদিকে এসে মোহনবাগানের গ্রাফ কি পড়তির দিকে? পরপর ম্যাচ জিততে জিততে আগের ম্যাচে জামশেদপুর এফসি–র সঙ্গে ড্র করেছিল সবুজ–মেরুন ব্রিগেড। মঙ্গলবার চেন্নাইন এফসি–র কাছেও আটকে গেল। ম্যাচের ফল ০–০। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে এদিন নিজেদের একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি মোহনবাগান ফুটবলাররা। তবে মোহনবাগানের এই আটকে যাওয়ার পেছনে কোচ হোসে মোলিনাকে দায়ী করা যায়।
জয়ে ফিরতে মরিয়া হোসে মোলিনা এদিন চেন্নাইন এফসি–র বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করে দল সাজিয়েছিলেন। লিস্টন কোলাসো, জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, সাহাল আব্দুল সামাদ, মনবীর সিংদের মতো সেরা ফুটবলারদের প্রথম একাদশে জায়গা দেননি। তার ফল ভুগতে হয়েছে। দীপক টাংরি, অভিষেক সূর্যবংসী, সুহেল বাটরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ফলে গোটা ম্যাচেই ছন্দহীন লাগল মোহনবাগানকে। যখন কোলাসো, ম্যাকলারেন, কামিংসদের মাঠে নিয়ে এলেন, এনেকটাই দেরি হয়ে গেছে।
বাগান কোচের ভুল স্ট্র্যাটেজিতে শুরু থেকেই খেলা ধরে নিয়েছিল চেন্নাইন এফসি। প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ এসেছিল। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন উইলমার জর্ডান। ১৫ মিনিটে মোহনবাগানের সামনেও সুযোগ এসে গিয়েছিল। জুনিয়রের গায়ে মারেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ফিরতি বলে দীপক টাংরির শট আটকান চেন্নাইন গোলকিপার নওয়াজ। মিনিট দুয়েক পর আবার গোলের সুযোগ এসেছিল জর্ডানের সামনে। এ যাত্রা মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে দেন জর্ডান। ৩৫ মিনিটে তাঁর শট পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মোহনবাগান। বেশ কয়েকটা সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু তিন কাঠিতে রাখতে পারেননি দিমিত্রি পেত্রোতোস। ৪৯ মিনিটে সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রিকিক পেয়েও বাইরে মারেন। পরের মিনিটেই টম অলড্রেডের পাস বল পেয়ে ৩৫ গজ দুর থেকে শট নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েই বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন।
গোলের জন্য মরিয়া হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা। সুহেল ভাটের জায়গায় লিস্টন কোলাসোকে মাঠে নিয়ে আসেন। দিমিত্রি পেত্রাতোসের জায়গায় জেমি ম্যাকলারেনকে। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আক্রমণের চাপ বজায় রাখলেও তিন কাঠি খুঁজে পায়নি মোহনবাগান। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে অভিষেক সূর্যবংশীর জায়গায় সাহাল আব্দুল সামাদ ও গ্রেগ স্টুয়ার্টের পরিবর্তে জেসন কামিংসকে নামান মোলিনা। তাতেও গোল আসেনি। ফলে ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগানকে। ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রয়েছে সবুজ–মেরুন। অন্যদিকে, ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাইন এফসি টেবিলের দশম স্থানে রয়েছে।