ম্যাচ প্রায় শেষের দিকে। গোল আসছে না। গ্যালারিতে দর্শকরা উসখুশ করছেন। সঙ্গে চাপা টেনশন। সেই সময়ই জ্বলে উঠলেন জেসন কামিন্স। মিনিট দুয়েক আগে মাঠে নামা গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস থেকে বাঁপায়ের অনবদ্য গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন। কামিন্সের করা গোলেই চেন্নাইন এফসি–কে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান।
আগের ম্যাচে মোহনবাগান ফুটবলাররা যে খেলা উপহার দিয়েছিলেন, চেন্নাইন এফসি–র বিরুদ্ধে সেই ছন্দ ছিল না। লিগ টেবিলের পরের দিকে থাকা এইরকম দলের বিরুদ্ধেও কেমন যেন গুটিয়ে ছিল হোসে মোলিনার দল। না ছিল সেই আক্রমণাত্মক মানসিকতা, না ছিল ইতিবাচক ফুটবল। দিমিত্রি পেত্রাতোস, জিমি ম্যাকরালেন, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা কেমন যেন গুটিয়ে ছিলেন। মাঠমাঠ ছন্দহীন, উইং দিয়েও আক্রমণ তুলে নিয়ে আসতে পারছিল না। চেন্নাইনও মোহনবাগানের এই ছন্নছাড়া অবস্থার সুযোগ নিতে পারেনি। ফলে প্রথমার্ধে দুই দলই সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য অন্যছবি। কিছুটা খেলায় ফেরে মোহনবাগান। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু তিনকাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না ম্যাকলারেন, লিস্টন, মনবীররা। চেন্নাইন গোলকিপারও বেশ কয়েকটা ভাল সেভ করেন। আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়াতে জিমি ম্যাকলারেনের জায়গায় জেসন কামিংসকে মাঠে নিয়ে আসেন মোলিনা। লিস্টনের পরিবর্তে আশিক কুরুনিয়ানকে। তাতেও কাজ হচ্ছে না দেখে ৮৪ মিনিটে পেত্রাতোসের জায়গায় গ্রেগ স্টুয়ার্টকে মাঠে নামান মোলিনা। মাঠে নেমেই গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট। বল বারে লেগে ফিরে আসে। অবশেষে ৮৬ মিনিটে তাঁর পাস থেকে গোল করে বাগান সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন জেসন কামিংস। যে দলের আক্রমণভাগে জেসন কামিংস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোস, জিমি ম্যাকলারেনের মতো ফুটবলাররা থাকেন, সেই দলের সমর্থকদের জয় নিয়ে কি চিন্তা করা উচিত?
আরও পড়ুনঃ পি আর সলিউশনের উদ্যোগে অশোকনগরে ফিরল সোনালি অতীত, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য চ্যারিটি ম্যাচ