অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। হঠাৎই ছন্দপতন। পরপর দুটি ম্যাচে আটকে যেতে হয়েছিল। আবার জয়ের রাস্তায় ফিরল সবুজ–মেরুন ব্রিগেড। লিস্টন কোলাসোর দুরন্ত গোলে হারাল বেঙ্গালুরু এফসি–কে। ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট পেয়ে লিগ–শিল্ড জেতার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল হোসে মোলিনার দল।
শেষ ৪ ম্যাচে জয় নেই। তার মধ্যে তিন ম্যাচে হার, একটা ড্র। এই মুহুর্তে খুব একটা স্বস্তিতে নেই বেঙ্গালুরু এফসি। এইরকম দলের বিরুদ্ধেও জয় আসবে না! ৭৩ মিনিট পর্যন্ত গোল আসেনি। মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে উৎকন্ঠা ক্রমশ বাড়ছিল। রিজার্ব বেঞ্চে চাপা টেনশনে কোচ হোসে মোলিনাও। অবশেষে কোচ ও সমর্থকদের স্বস্তি এনে দিলেন লিস্টন কোলাসো।
আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন আর পরীক্ষা–নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটেননি বাগান কোচ মোলিনা। সেরা একদাশই নামিয়েছিলেন। প্রথম থেকেই আক্রমণ প্রতি–আক্রমণে খেলা দারুণ জমে উঠেছিল। কিন্তু গোল করার মতো পজিটিভ সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনও দলই। এরই মধ্যে ২৮ মিনিটে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে আচমকা শট নিয়েছিলেন নগুয়েরা। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে আটকান বিশাল কাইথ।
৩০ মিনিটের পর থেকে বেঙ্গালুরুর তুলনায় মোহনবাগান অনেক বেশি পাসিং ফুটবল খেলছিল। কিন্তু পেনিট্রেটিভ জোনে ঢুকেও সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নগুয়েরার পাস থেকে সুবর্ণ সুযোগ এসে গিয়েছিল সুনীল ছেত্রীর সামনে। কিন্তু তিনি বল জালে রাখতে পারেননি। সুনীলের শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহনবাগানের সামনে সুযোগ এসে গিয়েছিল। ৪৮ মিনিটে মনবীরের দুর্দান্ত পাস ম্যাকলারেন পা ছোঁয়ানোর আগেই কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান রাহুল বেকে। গ্রেগ স্টুয়ার্টের কর্নারে হেড করেছিলেন দীপক টাংরি। গোলে ঠোকার মুখে শরীর ছুঁড়ে বাঁচান বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিং। ৫৭ মিনিটে নিখিল পুজারির সেন্টারে হেড করেছিলেন পেড্রো। বল গোলে ঢোকার মুখে ফিস্ট করে বাঁচান বিশাল কাইথ।
অবশেষে ৭৪ মিনিটে জয়ের কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বাঁদিক থেকে শুভাশিসের কাছ থেকে বল পেয়ে সেন্টার করেছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। রাহুল বেকে হেড করেন। বল চলে যায় বক্সের বাইরে দাঁড়ানো লিস্টন কোলাসোর কাছে। ২০ গজ দুর থেকে নেওয়া তাঁর দুরন্ত ভলি জালে জড়িয়ে যায়। ইনজুরি সময়ে সমতা ফেরানের সুযোগ এসেছিল রাহুল বেকের সামনে। কর্নার থেকে নেওয়া তাঁর হেড বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট পেয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে মোহনবাগান।