বড় ব্যবধানে জিতে কলকাতা লিগ অভিযান শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর এক প্রধান মোহনাবাগান সুপার জায়ান্ট তো পুলিশ এসি–র কাছে হেরেই বসেছিল। তৃতীয় প্রধান মহমেডানেরও লিগ অভিযান ভাল হল না। প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল সাদাকালো ব্রিগেড। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে দু’দুবার এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া। ম্যাচের ফল ২–২।
পুলিশ দল যেন বড় ক্লাবের কাছে শক্ত গাঁট হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ এসি–র কাছে মোহনবাগানের হার, আর কলকাতা পুলিশের সঙ্গে মহমেডানের ড্র। যদিও সাদাকালো ব্রিগেড ড্র করার মতো খেলেনি। শুরু থেকেই কলকাতা পুলিশের ওপর আক্রমণের চাপ বজায় রেখেছিল। কয়েকটা সুযোগও তৈরি করে। ম্যাচের ১৯ মিনিটেই কাঙ্খিত গোলটি পেয়ে যায় মহমেডান। মাঝমাঠ থেকে থ্রু পাস ধরে পুলিশ গোলকিপারকে কাটিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন লালথানকিমা। যদিও এই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মহমেডান। মহমেডান রক্ষণের ভুল কাজে লাগিয়ে ৩ মিনিট পরেই পুলিশের হয়ে সমতা ফেরান রাহুল নস্কর।
সমতা ফেরার পর গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মহমেডান। ম্যাচের ২৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যায়। প্রথমে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন লালথানকিমা। কলকাতা পুলিশ গোলকিপার সন্দীপ পাল আংশিক প্রতিহত করেন। ফিরতি বল চলে যায় লালগাইসাকার কাছে। ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন মহমেডানের এই মিডিও। প্রথমার্ধে আরও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল মহমেডান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। বিরতিতে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে মহমেডান।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে কলকাতা পুলিশ। একর পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ব্যতিব্যস্ত করে দেয় মহমেডান রক্ষণকে। আক্রমণের চাপে ভুল করতে শুরু করেন শুভেন্দু মালিক, দীনেশ মিতাই, উপেন টুডুরা। সেই সুযোগে সমতা ফেরান পুলিশের সন্দীপ ওঁরাও। ৫৪ মিনিটে ডানদিকে থেকে আসা থ্রু বল ধরে এগিয়ে গিয়ে ডানপায়ের জোরালো শটে গোল করেন। মহমেডান গোলকিপার শুভদীপ পন্ডিত হাত বাড়িয়েও বলের নাগাল পাননি। সমতা ফেরার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয় মহমেডান। তবে পুলিশের রক্ষণের ব্যারিকেড আর ভাঙতে পারেনি।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl