জয় দিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ অভিযান শুরু করেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। দ্বিতীয় ম্যাচে খিদিরপুর এফসি–র কাছে আটকে যেতে হয়েছিল। এবার হারের মুখ দেখতে হল সাদাকালো ব্রিগেডকে। কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের কাছে হার ২–১ ব্যবধানে। টানা তিনবারের লিগ চ্যাম্পিয়নের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী।
লিগের শুরুতেই কেন এই হাল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের? আসলে গত মরশুমে ডেভিড, বেনেস্টন ব্যারেটো, সেখ ফৈয়াজ, মহম্মদ ইরশাদ, বিকাশ সিং, রেমসাঙ্গা, এডিঙ্গা, আঙ্গুসানা, সামাদ মল্লিকের মতো ফুটবলাররা পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন। এবছর কলকাতা লিগে একেবারে তরুণ দল খেলাচ্ছে মহমেডান। পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো ফুটবলার নেই। আক্রমণভাগও শক্তিশালী নয়। ফলে ভাল শুরু করেও পরপর দুটি ম্যাচে হোঁচট খেতে হল মহমেডানকে।
আগের ম্যাচে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে জঘন্য ফুটবল উপহার দিয়েছিল সাদাকালো ব্রিগেড। কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের বিরুদ্ধেও ছবিটা বদলায়নি। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল কালীঘাটের। ১৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। কাজে লাগাতে পারেনি। ৩৬ মিনিটে তুষার বিশ্বকর্মার মাইনাস থেকে কালীঘাটকে এগিয়ে দেন দোর্জি তামাঙ। মিনিট চারেক পর সাকিরুলের থ্রু পাস থেকে তিনিই ২–০ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় মহমেডান। একের পর এক সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু কালীঘাটের দুই ডিফেন্ডার সঞ্জয় মান্ডি ও কৌশিক সরকারের কাছে এসে যাবতীয় আক্রমণ প্রতিহত হয়। তিনকাঠির নীচে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন কালীঘাট গোলকিপার আকাশ মন্ডল। অবশেষে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে তিনকাঠি খুঁজে পায় মহমেডান। তন্ময় ঘোষের ফ্রিকিক থেকে ব্যবধান কমান ইসরাফিল দেওয়ান।
প্রথম ম্যাচে উয়াড়ির বিরুদ্ধে মহমেডানের ৬ গোলে জয়ের পেছনে বিপক্ষের দুর্বলতাই বেশি ছিল। দল পুরো না থাকাতেই পরপর দুটো ম্যাচে হোঁচট খেতে হল। আসলে প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পায়নি মহমেডান। দল গঠনে অনেকটাই দেরি হয়েছিল। মাত্র ৭–৮ দিনের প্রস্তুতিতে লিগে নামতে হয়েছে। ফুটবলারদের তৈরি হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন মহমেডান ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস।