আইএসএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে সুপার কাপে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে যে আকাশপাতাল তফাৎ। চলতি মরশুমে লাল–হলুদ রক্ষণের যা হাল, স্বপ্ন দেখাটাই অবাস্তব। সুপার কাপেও এসেও ইস্টবেঙ্গলকে ডোবাল সেই রক্ষণ। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে প্রথম ম্যাচেই ২–০ ব্যবধানে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শুধুই কি রক্ষণ? আক্রমণভাগের ব্যর্থতাও ইস্টবেঙ্গলের বিদায়ের জন্য দায়ী।
ম্যাচের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। ২ মিনিটেই নোয়ার পাস থেকে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল জিমেনেজের সামনে। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জিমেনেজ। শুরুর ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে খেয়ার ফেরে ইস্টবেঙ্গল। যদিও প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে গোলের মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে আবার নোয়া–জিমেনেজের যুগলবন্দীতে সুযোগ এসে গিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। আবার তিনকাঠিতে বল রাখতে ব্যর্থ জিমেনেজ।
গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কেরালা ব্লাস্টার্সকে। ৩৮ মিনিটে নিজেদের বক্সের মধ্যে নোয়াকে ফাউল করেন আনোয়ার আলি। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। জিমেনেজের শট আটকে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। জিমেনেজ পেনাল্টি নেওয়ার সময় গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন প্রভসুখন। রেফারি দ্বিতীয়বার শট নেওয়ার নির্দেশ দেন। জিমেনেজের দ্বিতীয় শট ডানদিকে ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার। বল প্রভসুখনের হাতে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। ৪৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। কেরালা ব্লাস্টার্সের ৩ জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন বিষ্ণু। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়েও ফাঁকা গোলে ঠেলতে পারেননি মেসি বাউলি।
দ্বিতীয়ার্ধেও কেরালা ব্লাস্টার্সের দাপট অব্যাহত ছিল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে। সেই সময় দিশেহারা লাগছিল আনোয়ার আলি, হেক্টর ইউস্তেদের। ৫৬ মিনিটে আবার ইস্টবেঙ্গলের জালে বল পাঠান জিমেনেজ। অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় কেরালা ব্লাস্টার্স। ডানদিকে বল পেয়ে প্রথমে পিভি বিষ্ণু ও পরে মহেশ সিংকে ডজ করে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন নোয়া।
এদিন গোটা ম্যাচে একবারের জন্যও মনে হয়নি জিততে পারে ইস্টবেঙ্গল। অ্যাটাকিং থার্ডে সেভাবে লোক বাড়াতে পারেনি। প্রথমার্ধে একটা শট পোস্টে লাগলেও দ্বিতীয়ার্ধে কোনও ইতিবাচক গোলের সুযোগ পায়নি ইস্টবেঙ্গল। বরং ২ গোলে এগিয়ে গিয়ে রক্ষণ মজবুত করে প্রতিআক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে দিয়ামানতাকোস কয়েকবার কেরালা বক্সে হানা দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে প্রতিযোগিতার শুরুতেই বিদায় নিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl