আইএসএলে দলকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন মহমেডান সমর্থকরা। কিন্তু অভিষেকটা সুখের হয়নি সাদা–কালো ব্রিগেডের। প্রথম ম্যাচেই নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হারতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র। প্রথম জয় এসেছিল তৃতীয় ম্যাচে, চেন্নাইন এফসি–র বিরুদ্ধে। এরপর শুধুই ব্যর্থতা। অবশেষে ১১ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল মহমেডান। বেঙ্গালুরু এফসি–কে তাদের ঘরের মাঠে হারাল ১–০ ব্যবধানে। দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে একমাত্র গোলটি করেন কাশিমভ।
ধারে–ভারে মহমেডানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বেঙ্গালুরু এফসি। চলতি আইএসএলে টানা ৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন সুনীল ছেত্রিরা। তাঁরা যে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছে, ম্যাচের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে মহমেডান রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখছিল বেঙ্গালুরু এফসি। ৭ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। ডানদিক থেকে উঠে গিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন উইলিয়ামস। বল সাইড নেটে আছড়ে পড়ে। ১৬ মিনিটে প্রথম আক্রমণ মহমেডানের। ডানদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন অ্যালেক্সিজ গোমেজ। পা ছোঁয়াতে পারেননি রেমডাঙ্গা। পা ছোঁয়াতে পারলেই নিশ্চিত গোল পেতেন।
২৪ মিনিটে দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন মহমেডানের ফ্রাঙ্কা। রেমসাঙ্গার ডিফেন্স চেরা থ্রু সামনে বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিংকে একা পেয়েও তাঁর হাতে মারেন। ৩৮ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। আলবার্তো নগুয়েরার শট গোলে ঢোকার মুখে বাঁচান ফ্লোরেন্ট ওজিয়ের। যদিও মিনিট চারেক পর তাঁরই ভুলে গোল হজম করতে পারত মহমেডান। নগুয়েরার সেন্টার বিপদমুক্ত করতে গিয়েছিলেন ফ্লোরেন্ট। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকছিল। কোনও রকমে ফিস্ট করে বাঁচান মহমেডান গোলকিপার পদম ছেত্রি।
প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে মহমেডান। বেশ কয়েকটা সুযোগও তৈরি করে। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। ৪৮ মিনিটে বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিংয়ের ভুল পাস পেয়ে গিয়েছিলেন অ্যালেক্সিজ গোমেজ। সামনে গুরপ্রীতকে একা পেয়েও বল তিনকাঠিতে রাখতে পারেননি। ৫৫ মিনিটে ফ্রাঙ্কার শট আটকান গুরপ্রীত। মিনিট তিনেক পরই সুনীলের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান মহমেডান গোলকিপার পদম ছেত্রি।
৭২ মিনিটে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেওয়ার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন সুনীল ছেত্রির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা শিভাল্ডো। রায়ান উইলিয়ামসের সেন্টার সামনে শুধু পদম ছেত্রিকে পেয়েও ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে বল গোলে রাখতে পারেননি। অবশেষে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে জয়ের কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় মহমেডান। বক্সের বাইরে ফ্রাঙ্কাকে ফাউল করেছিলেন আলবার্তো নগুয়েরা। ডানপায়ের দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করে মহমেডানকে জয় এনে দেন কাশিমভ। চলতি আইএসএলে এটা তাঁর দ্বিতীয় গোল। কাশিমভের গোলেই ১১ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল মহমেডান।
আরও পড়ুনঃ প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নজির স্মৃতি মান্ধানার, ভেঙে দিলেন মিতালি রাজের রেকর্ড