আইএসএলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। নাটকীয় ম্যাচে ইনজুরি সময়ে আলবার্তো রডরিগেজের গোলে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। ম্যাচের ফল ৩–২। মোহনবাগানের হয়ে গোল তিনটি করেন জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস ও অলবার্তো রডরিগেজ।
মাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। ২ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে লুজ বল পেয়ে গিয়েছিলেন সাদাউই। তাঁর জোরালো শট কোনও রকমে বাঁচান মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ৩ মিনিট পর আবার সুযোগ এসেছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। সাদাউইয়ের সেন্টার বক্সের মধ্যে ধরে চকিতে ব্যাকহিল করেছিলেন জিমেনেজ। বল গোলে ঢোকার মুখে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে কোনও রকমে বাঁচান বিশাল কাইথ।
শুরুর ঝড় সামলে আস্তে আস্তে খেলায় ফেরে মোহনবাগান। বেশ কয়েকটা সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ২৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় কেরালা ব্লাস্টার্স। বক্সের মধ্যে টম আলড্রেডের হাতে বল লাগলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। ৩৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। আশিস রাইয়ের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আংশিক প্রতিহত করেন কেরালা ব্লাস্টার্স গোলকিপার শচীন সুরেশ। ফিরতি বল জালে পাঠান জিমি ম্যাকলারেন। ৪৪ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল কেরালার সামনে। প্রীতম কোটালের কাছ থেকে বল পেয়ে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে বিশাল কাইথকে পরাস্ত করতে পারেননি জিমেনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে কেরালা ব্লাস্টার্স। জিমেনেজ, নোয়ারা ঝাঁপিয়ে পড়েন মোহনবাগান রক্ষণে। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরায়। আলড্রেডের ব্যাকপাস লম্বা ক্লিয়ারেন্স না করে বিশাল কাইথ পাস বাড়িয়েছিলেন শুভাশিসকে। শুভাশিসও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল পেয়ে যান জিমেনেজ। তাঁর শট বিশাল কাইথকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। নোয়ার গোলার মত শট উড়ে গিয়ে কোনও রকমে বাঁচান বিশাল কাইথ।
কেরালা ব্লাস্টার্সের সাঁড়াশি আক্রমণের চাপের মধ্যেও ৬১ মিনিটে লিস্টন কোলাসের সামনে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল। প্রতিআক্রমণে উঠে এসে পেত্রোতোস বল বাড়িয়েছিলেন লিস্টন কোলাসোকে। তাঁর শট সরাসরি কেরালা গোলকিপার সুরেশের হাতে চলে যায়। ৬৫ মিনিটে নোয়ার শট কাইথের হাত ছুঁয়ে পোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৭৭ মিনিটে এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। জিমেনেজের ফ্রিকিক বিশাল কাইথের হাত থেকে বেরিয়ে এলে ফিরতি বল জালে পাঠান ড্যানিস ড্রিনসিচ।
এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। ৮৬ মিনিটে সমতা ফেরায়। গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। শেষ মুহুর্তে বলে পা লাগিয়ে জালে পাঠান পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামান জেসন কামিংস। ম্যাচ যখন মনে হচ্ছিল ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে। তখনই ঝলসে ওঠে আলবার্তো রডরিগেজের পার পা। শুভাশিসের শট কেরালা ব্লাস্টার্সের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়ে ফিরে এলে ফিরতি বলে গোলার মতো শটে দলের ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন আলবার্তো।