একবছর আগে শেষবার জয়ের মুখ দেখেছিল ভারত। সেই ম্যাচে ইগর স্টিম্যাকের কোচিংয়ে ভারত হারিয়েছিল কুয়েতকে। মাঝে একটা বছর কেটে গেলেও জয়ের মুখ দেখেনি ভারত। স্টিম্যাককে সরিয়ে ফেডারেশন কর্তারা দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মানোলো মার্কোয়েজের হাতে। তাঁর কোচিংয়েও ছবিটা বদলাল না। মালয়েশিয়ার সঙ্গেও ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আটকে গেল ভারত। ম্যাচের ফল ১–১। অর্থাৎ এই বছরটা জয়হীনই থাকতে হল ভারতীয় দলকে।
ফিফা ক্রমতালিকায় মালয়েশিয়ার থেকে ৮ ধাপ এগিয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের স্থান ১২৫ নম্বরে, মালয়েশিয়ার ১৩৩। ক্রমতালিকার সঙ্গে ভারতের খেলার কোনও মিল নেই। গত বছর মারডেকা কাপের সেমিফাইনালে এই মালয়েশিয়ার কাছে ৪–২ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল। এবার ড্র। আসলে মানোলো চেয়েছিলেন মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দলে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে। সেই কারণেই দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারকে তিনি শুরু থেকে মাঠে নামাননি। যেমন দলের সেরা স্ট্রাইকার মনবীর সিংকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখেছিলেন। লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলারকেও মাঠে নামাননি।
তবে চোটমুক্ত হয়ে মাঠে ফিরলেনস সন্দেশ ঝিঙ্ঘান। দীর্ঘদিন পর আনোয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতা দিলেন। তিনকাটির নীচে গুরপ্রীত ভুল না করলে এদিন ক্লিনশিটই পেত ভারতীয় রক্ষণ। কারণ দুই সাইডব্যাক রাহুল ভেকে ও রোশনও সন্দেশ, আনোয়ারের মতো উজ্জ্বল ছিলেন। মাঝমাঠে দারুণ ছন্দময় ফুটবল উপহার দিলেন আপুইয়া, ব্রেন্ডন, সুরেশরা।
ভাল শুরু করেও খেলার গতির বিপরীতে গোল হজম করে বসে ভারত। ম্যাচের ১৯ মিনিটে মালয়েশিয়া অর্ধ থেকে ভেসে আসা লম্বা বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে অহেতুক বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন গুরপ্রীত সিং। বল তাঁর সামনে পড়ে মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। পেছন থেকে ছুটে এসে পাওলো জোসুয়ে বাঁপায়ের শটে গোল করে মালয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন। ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরায় ভারত। ব্রেন্ডনের কর্নারে হেডে গোল করেন রাহুল ভেকে।
দ্বিতীয়ার্ধে মনবীর সিং, জিতিন, এডমুন্ডকে নামিয়ে কাজের কাজ কিছু হয়নি। হয়তো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বলেই ফুটবলারদের মধ্যে তাদিগের অভাব ছিল। ভারত যেমন তেমন কোনও পজিটিভ আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি, মালয়েশিয়াও ভারতীয় রক্ষণে ত্রাসের সঞ্চার করতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতাতেও খেলবেন সামি, নেতৃত্বে সুদীপ ঘরামি
আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশকে ৭ গোলে উড়িয়ে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্ব কার্যত নিশ্চিত বাংলার