চুক্তির যাঁতাকলে পড়ে গেছেন ভারতের তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। ইস্টবেঙ্গলে তাঁর সই করা নিয়ে জটিলতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির দ্বারস্থ হলেন আনোয়ার। বুধবার তিনি প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করেছেন।
দিল্লি এফসি থেকে ৪ বছরের লোনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়েছিলেন আনোয়ার আলি। এরপর একতরফা ভাবে লোন চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেন ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এরপরই মোহনবাগান দাবি করে, আনোয়ার আলির ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি অবৈধ, কারণ তিনি ৪ বছরের জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। আনোয়ারকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস কলকাতা লিগের জন্যও নথিভূক্ত করে। মোহনবাগানের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আনোয়ার আমাদের খেলোয়াড়। আমরা ওকে তাকে সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নথিভূক্ত করেছি। ওকে ১৯ জুলাই অনুশীলনে যোগ দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, দিল্লি এফসি–র মালিক রঞ্জিত বাজাজ জানিয়েছেন, আনোয়ার আলি নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করার জন্য প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে আবেদন করেছেন ট্র্যান্সফার দ্রুত বন্ধ করার জন্য। তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব। এবং কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে চলব। ফেডেরেশনের ট্র্যান্সফার রেগুলেশনের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, একজন পেশাদার ফুটবলার ও একটা ক্লাবের মধ্যে নতুন চুক্তি শুধুমাত্র পুরনো চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে বা পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে শেষ করা যেতে পারে। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি দ্বারা নির্ধারিত সময়সীমা ৫ দিনের কম এবং ২০ দিনের বেশি চলবে না। জরুরি ক্ষেত্রে সময়সীমা হ্রাস করা যেতে পারে। ফেডারেশনের রুলবুকে আরও বলা হয়েছে যে, যদি প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির নিরপেক্ষতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকে, তাহলে ৫ দিনের মধ্যে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
এদিকে, ১৯ জুলাই আনোয়ার আলিকে অনুশীলনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে অনুশীলনে যোগ না দিলে তাঁর ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। প্রতিদিন জরিমানার অর্থ বাড়বে। তাঁকে ডুরান্ড কাপে খেলাতে চায় মোহনবাগান। ২৯ জুলাই মোহনবাগানে মূল দলের অনুশীলন শুরু হবে।