যে কোনও দলের কাছে ঘরের মাঠে লাজং এফসি যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ। ডুরান্ড কাপে আরও একবার প্রমান হয়ে গেল। আই লিগের এই দলের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ২–১ ব্যবধানে হেরে ডুরান্ড কাপ অভিযান শেষ ইস্টবেঙ্গলের। তিনকাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন লাজং এফসি গোলকিপার মানস দুবে। তাঁর হাতেই আটকে গেল ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড কাপের স্বপ্ন শেষ।
ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে এদিন শুরু থেকেই বেগ দিচ্ছিল লাজং। দ্রুত গতিতে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। ৮ মিনিটে এগিয়ে যায় লাজং এফ সি। হার্ডির কর্নার থেকে ডানপায়ের ভলিতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রুডওয়ার। ১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে মাদিহ তালালকে ফাউল করেন হার্ডি। সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও কাজে লাগাতে পারেননি মাদিহ তালাল। ২ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল লাজংয়ের সামনে। জটলার মধ্যে থেকে করা রুডওয়ারের হেড ক্রশবারে লেগে ফিরে আসে। ২৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ডেভিড। নন্দকুমারের সেন্টার সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও তিনকাঠিতে রাখতে ব্যর্থ হন।
সমতা ফেরানের জন্য আক্রমণে আরও চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ৩০ মিনিটে বক্সের মাথায় দারুণ জায়গায় বল পেয়েও সরাসরি লাজং গোলকিপার মানস দুবের হাতে মারেন নন্দকুমার। লাজংও পিছিয়ে ছিল না। ৩৭ মিনিটে রুডওয়ারের বাঁপায়ের দুরন্ত শট গোলে ঢোকার মুখে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। ৩৮ মিনিটে লাজংয়ের জালে বল ঢুকিয়েছিলেন মাদিহ তালাল। অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে তালালের আরও একটা ফ্রিকিক সরাসরি লাজং গোলকিপারের হাতে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। গোল আসছে দেখে আরো আক্রমণাত্মক খেলার দিকে মনোযোগ দেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ৬৫ মিনিটে হিজাজি মাহেরকে তুলে নিয়ে মাঠে নামা ক্লেইটন সিলভাতে। জোথানপুইয়াকে তুলে নামান বিষ্ণুকে। ৬৬ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দিয়ামানতাকোস। বিষ্ণুর গড়ানো পাস গোলমুখে পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৭১ মিনিটে নন্দকুমারের শট সরাসরি লাজং গোলকিপার মানসের বুকে লাগে। অবশেষে সেই নন্দকুমারের গোলেই সমতা ফেরায় ইস্টবেহ্গল। ৭৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করেন বিষ্ণু। ডানপায়ের ভলিতে সমতা ফেরান নন্দকুমার।
সমতা ফিরিয়েও শেষরক্ষা হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। ৮৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় লাজং এফসি। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোল করেন ফিগো। ৯০ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচান প্রভসুখন গিল। না হলে তখনই ম্যাচ শেষ। ইনজুরি সময়ের ৫ মিনিটের মাথায় নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন লাজং গোলকিপার মানস দুবে। বলতে গেলে তাঁর হাতেই আটকে গেল ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড কাপের স্বপ্ন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের জন্য ফাঁদ পেতে নিজেরাই ধরা পড়ল পাকিস্তান, শরিফুলদের দাপটে বেসামাল বাবর আজমরা
আরও পড়ুনঃ ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের জন্য ভারতের প্রাথমিক দল ঘোষণা, জায়গা হল না অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের