রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাঞ্জাব এফসি–কে ৪–২ ব্যবধানে হারিয়ে আবার জয়ের সরণিতে। চলতি আইএসএলে সেরা ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
গোলদাতা ডেভিডকে ঘিরে ক্লেইটনের উচ্ছ্বাস।
স্পোর্টস টাইম ওয়েব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Share on:
চোটের জন্য ৩ বিদেশি নেই। মাঝমাঠের অন্যতম সেরা স্তম্ভ জিকসন সিং লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে। রক্ষণে দুই বিদেশি হিজাজি মাহের, হেক্টর ইউস্তের ওপর ভরসা করা কঠিন। আক্রমণভাগে ক্লেইটন সিলভাও ছন্দে নেই। এইরকম ভাঙাচোরা দল নিয়ে জেতা সম্ভব? তাও আবার ৩৯ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে? লালহলুদ সমর্থকরাও হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি। অথচ সেটাই করে দেখাল লালহলুদ ব্রিগেড। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাঞ্জাব এফসি–কে ৪–২ ব্যবধানে হারিয়ে আবার জয়ের সরণিতে। চলতি আইএসএলে সেরা ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
সল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, জিকসন সিংরা না থাকায় পাঞ্জাব এফসি–র বিরুদ্ধে মাঝমাঠে অন্যরকম পরিকল্পনা নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। সৌভিক চক্রবর্তীর পাশে মাঝমাঠে আনোয়ার আলি। দুই প্রান্তে মহেশ সিং ও নন্দকুমার। আক্রমণে ডেভিড ও ক্লেইটন। স্টপারে হিজাজির পাশে হেক্টর। মাঝমাঠে তালাল, জিকসনদের অভাব আনোয়ার আলিকে দিয়ে পূরণ করা কী সম্ভব? হয়ওনি। ফলে প্রথমার্ধে মাঝমাঠের দখল নিয়ে আধিপত্য দেখাতে থাকে পাঞ্জাব। মহেশ ও নন্দকুমারের খারাপ ফর্মও কাজ সহজ করে দেয়।
যদিও ম্যাচের ৯ মিনিটে ক্লেইটনের ফ্রিকিক থেকে পাঞ্জাবের জালে বল পাঠিয়েছিলেন ডেভিড। অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপরই জ্বলে ওঠে পাঞ্জাব। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ব্যতিব্যস্ত করে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। ২১ এগিয়েও যায়। ভিদালের সেন্টারের শরীর ছুড়ে ডানপায়ের দুরন্ত ভলিতে গোল করে পাঞ্জাবকে এগিয়ে দেন আসমির সুজিচ। ৩৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্লেইটন সিলভা। ২ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল পাঞ্জাবের লুকার সামনে। তাঁর প্রয়াস দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। ৩৯ মিনিটে আনোয়ারকে মাটি ধরিয়ে ২–০ করেন ভিদাল। প্রথমার্ধে ২ গোলেই এগিয়ে ছিল পাঞ্জাব।
দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ অন্য ইস্টবেঙ্গল। চোট পাওয়া মহেশের জায়গায় পি ভি বিষ্ণুকে নামিয়ে অস্কার ব্রুজো পরিকল্পনা বদলাতেই বদলে যায় ইস্টবেঙ্গলের খেলা। বিরতির পরপরই ক্লেইটনের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে ব্যবধান কমান হিজাজি। এই গোলটাই অক্সিজেন এনে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। আক্রমণে ঝড় তোলে। ৫৪ মিনিটে বিষ্ণু সমতা ফেরান। তাঁর শট পাঞ্জাব ডিফেন্ডার সুরেশের পায়ে লেগে গোলে ঢোকে। ৬১ মিনিটে নন্দকুমারের সেন্টার বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে ঢুকিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই সুরেশই। ৬৪ মিনিটে লুংডিম লালকার্ড দেখিয়ে বেরিয়ে গেলে সুবিধা হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। মিনিট তিনেক পরেই দুরন্ত হেডে ৪–২ করেন ডেভিড। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে ১০ নম্বরে উঠে এল অস্কার ব্রুজোর দল। বেঁচে থাকল সুপার সিক্সের স্বপ্নও।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl