কলকাতার এক প্রধান আইএসএলের প্রথম ম্যাচ থেকেই রক্ষণ সমস্যায় ভুগছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টও সেই একই রোগে আক্রান্ত। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আবার সবুজমেরুনের রক্ষণের হতশ্রী চেহারা ফুটে উঠল। আর সেই সুযোগে গতবারের পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিল বেঙ্গালুরু। মোহনবাগানকে উড়িয়ে দিল ৩–০ ব্যবধানে। টানা ৩ ম্যাচে জয় বেঙ্গালুরুর। বাগান রক্ষণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন মেন্ডেজ, নগুয়েরা, সুনীলরা। আরও বড় ব্যবধানে জিতলেও বলার কিছু ছিল না। পেনাল্টি থেকে গোল করে ইতিহাসে নাম তুলে ফেললেন সুনীল ছেত্রী।
ঘরের মাঠে এদিন মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। দেখে মনে হচ্ছিল বেঙ্গালুরুই যেন ঘরেম মাঠে খেলতে নেমেছে। ৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। দূরূহ কোণ থেকে নেওয়া বিনিতের ফ্রিকিক কোনও রকমে বাঁচান বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ৮ মিনিটে অবশ্য সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানেরও সামনে। দিমিত্রি পেত্রাতোসের দুরন্ত ফ্রিকিক বাঁচিয়ে বেঙ্গালুরুকে রক্ষা করেন গোলকিপার গুরপ্রীত সিং।
যদিও গোল পেতে বেঙ্গালুরুকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায়। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল হেডে ৬ গজ বক্সে নামিয়ে দেন নিখিল পুজারি। চলন্ত বলে পা ছুঁইয়ে জালে জড়িয়ে দেন মেন্ডেজ। ১২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মেন্ডেজের সামনে। প্রতিআক্রমণে উঠে এসে ডানদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন নিখিল পুজারি। সামনে শুধু বিশাল কাইথকে পেয়েও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি মেন্ডেজ।
২০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সুরেশ। সুনীল ছেত্রীর দুরন্ত পাস থেকে তিনি ২–০ করেন। পরের মিনিটেই সুনীলের শট বাঁচান বিশাল কাইথ। ৪০ মিনিটে ৩–০ করার সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। এ যাত্রায় মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে দেন বিশাল কাইথ ও টম অ্যালড্রেড। নগুয়েরার শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আংশিক প্রতিহত করেন বিশাল। এরপর সুরেশের শট গোলে ঢোকার মুখে হেড করে বিপদমুক্ত করেন অ্যালড্রেড। প্রথমার্ধে সারা ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি মোহনবাগানকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছন্দ ধরে রাখে বেঙ্গালুরু। নগুয়েরা, সুনীল, মেন্ডেজরা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। ৫০ মিনিটে মেন্ডেজকে আটকাতে না পেরে বক্সের মধ্যে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন দীপেন্দু বিশ্বাস। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে ইতিহাসে নাম তুলে ফেললেন সুনীল ছেত্রী। আইএসএলে আপাতত তিনিই সর্বোচ্চ গোলের মালিক। তাঁর নামের পাশে ৬৪ গোল। ভেঙে দিলেন ওগবেচের ৬৩ গোলের রেকর্ড। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মোহনবাগানের লজ্জা আরও বাড়তে দেননি বিশাল কাইথ। শিবাশক্তির শট আটকে দলকে ৪–০ ব্যবধানে হারের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচ নিয়োগে চমক, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দায়িত্ব হাইপ্রোফাইল সঞ্জয় সেনকে
আরও পড়ুনঃ জয়ন্ত পুশিলালকে শ্রদ্ধা, এবছর রাজ্য টিটি প্রতিযোগিতা তাঁর নামে করার সিদ্ধান্ত বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের