মাত্র ৩ বছর বয়সেই বিশ্বরেকর্ড! সবথেকে কম বয়সে ফিডে রেটিং আদায় করে অনন্য নজির অনীশের
সবথেকে কম বয়সে ফিডে রেটিং আদায় করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে কলকাতার অনীশ সরকার। ভেঙে দিয়েছে তেজস তেওয়ারির রেকর্ড। ৫ বছর বয়সে তেজস পেয়েছিল ফিডে রেটিং। আর অনীশ পেল ৩ বছর বয়সে।
দাবার বোর্ডে খুদে অনীশ।
স্পোর্টস টাইম ওয়েব ডেস্ক
শেষ আপডেট: নভেম্বর ০২, ২০২৪
Share on:
মাত্র ৩ বছর ৮ মাস ১৮ দিন বয়স। এই বয়সে অনেকেই ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। সেই বয়সেই কিনা দাবার বোর্ডে বিশ্বরেকর্ড! হ্যাঁ, অবাক করার মতো ঘটনা হলেও, এটাই সত্যি। সবথেকে কম বয়সে ফিডে রেটিং আদায় করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে কলকাতার অনীশ সরকার। ভেঙে দিয়েছে তেজস তেওয়ারির রেকর্ড। ৫ বছর বয়সে তেজস পেয়েছিল ফিডে রেটিং। আর অনীশ পেল ৩ বছর বয়সে।
অনীশ এই রেকর্ড গড়েছে রাজ্য দাবায়। প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ৯ বিভাগে রেটিংয়ে এগিয়ে দুই দাবাড়ুকে হারিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে অনীশ। এই দুই দাবাড়ু হল আরব চ্যাটার্জি ও অহিলান বৈশ্য। এই দুজনকে হারিয়ে খুদে দাবাড়ু অনীশ পেয়েছে ১৫৫৫ ফিডে এলো রেটিং। এর আগে দাবায় এই বয়সে ফিডে রেটিংয়ে নথিভুক্ত হওয়ার নজির নেই। সেটাই করে দেখাল সেন্ট জেমস স্কুলের লোয়ার নার্সারির ছাত্র।
মাত্র ১ বছর বয়সে দাবা খেলা শুরু করেছিল অনীশ। বাড়িতে খেলার ছলেই প্রথমে দাবার বোর্ডে হাত। এরপর অনীশের আগ্রহ দেখে তাঁর বাবা ৬ মাস আগে দিব্যেন্দু বড়ুয়ার অ্যাকাডেমিতে নিয়ে যান। কিন্তু অ্যাকাডেমির নিয়ম ৫ বছর না হলে কাউকে ভর্তি নেওয়া হয় না। অনীশের শিক্ষক বাবা–মা আবেদন করলেও দিব্যেন্দু বড়ুয়া প্রথমে ভর্তি নিতে চাননি। আসলে কম বয়সের জন্যই। এরপর দিব্যেন্দু বড়ুয়া কিছু পরীক্ষা নেন। তাতে সফল হতেই অনীশকে অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে নেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া।
দাবার প্রতি দারুণ আগ্রহ ছোট্ট অনীশের। সপ্তাহে ৩–৪ দিন অ্যাকাডেমিতে ৬ ঘণ্টা অনুশীলন করে। মাঝে মাঠে দিব্যেন্দু বড়ুয়াও বাড়িতে ডেকে অনুশীলন করান। এই বয়সেই জেনে গিয়েছে রেটিং শব্দের মানে। গত মাসে রাজ্য স্তরের অনূর্ধ্ব ৯ এবং অনূর্ধ্ব ১৩ দুটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল অনীশ। যদিও দুই বিভাগে একটা ম্যাচেও জিততে পারেনি। এবার একেবারে বিশ্বরেকর্ড করে কামাল করে দিয়েছে।
We are a sports news media company which covers sports across the world. In 2021, "Sports Time" Magazine started its humble journey and quickly won the hearts of sports lover people. After the success of the magazine, we decided to venture into digital pl